মার্চ ২, ২০২৩, ০৩:৩৪ পিএম
বগুড়ার আশরাফুল আলম ওরফে কথিত হিরো আলম। চানাচুর বিক্রেতা থেকে ডিস ব্যবসা। সোশ্যাল মিডিয়ার আদলে ভাইরাল হন তিনি। এরপর দিনের পর দিন বিভিন্ন সমালোচনা আলোচনার জন্ম দিতেও দেখা যায় তাকে। তার নামে নারী কেলেংকারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কায়দায় টাকা আত্মসাৎ, বিয়ে ছাড়া অফিসে একাধিক নারী নিয়ে ঘুমানোসহ মাদক সেবনের খবরও চাউর হয় তার নামে। এ নিয়ে একাধিক থানায় মামলা হয়েছে তার নামে।
পুলিশ, এসবিসহ তার নামে একাধিক প্রশাসনিক তদন্তে তার নাম রয়েছে। এছাড়াও তাকে অশ্লিল ভিডিও ধারণ করার জন্য ডিবিতেও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কোন প্রশাসনিক ক্ষমতা তাকে আটকাতে পারছেন না। এতে করে একের পর এক ক্রাইম করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে তার নামে। এতো কিছুর পরও তাকে নিয়ে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইউনির্ভাসিটির এক ছাত্রের মূর্তি বানানোর কথা শোনা গেছে।
এ নিয়ে বেশ চড়াও হয়েছেন উপস্থাপক, অভিনেতা, পরিচালক শাহরিয়ার নাজিম জয়। সরাসরি সরকারকে দায় দিলেন তিনি। তিনি নিজের ফেরিফাইড পেজে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ শিক্ষিত হলো। উন্নত হলো। বিনয়ী হলো। বিবেকবান হলো। কর্মে ব্যস্ত হল। মানুষের উদারতা এবং ভদ্রতা ও দুর্বলতা এর সুযোগ নিয়ে সরকার বিকারহীন ভাবে জনগণের উপর চাপিয়ে দিল এক অদ্ভুত বিনোদন। যা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি প্রতিবেশী দেশের কাছে অবিরত নষ্ট করছে। যা প্রকৃত শিল্পীদের অপমান করছে। সরকারকে দায়ী করছি এই কারণে যে তাকে নিয়ে আমরা যারা লাফাই তাদের থামাতে পারে একমাত্র সরকার ।’
যখন দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বেশ অনড় তখন এতো কিছুর পরও তাকে নিয়ে কেন প্রশাসনের টনক নড়ছে না। তা নিয়ে মিডিয়াকর্মীদের মধ্যে আলোচনার ঝড় উঠেছে। আসলে এই কথিত ভাইরালকে রুখবে কে? সেটাই এখন দেখার বিষয় মাত্র!