মার্চ ১৩, ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম
চানাচুর বিক্রেতা থেকে ডিস ব্যবসা এরপর বিভিন্ন সিনেমার গানে মিউজিক ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনায় আসেন সমালোচিত আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তার বিরুদ্ধে করা হাতিরঝিল থানায় টাকা আত্মসাৎ, হত্যার হুমকিসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্যে ছড়ানোর ভিত্তিতে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৬, ৪২০, ৫০৬ এবং ৫০০ ধারায় পেনাল কোড এ মামলাটি দায়ের করা হয়। বাদী হয়ে মামলাটি করেন সাংবাদিক আকাশ নিবির।
মামলাটি প্রথমে হাতিরঝিল থানায় তদন্তে পাঠানোর পর পুলিশের মিথ্যা আর ভুল রিপোর্ট দিবার পর বাদী পক্ষ পিটিশনে পূণরায় কোর্টে আবেদন করেন। পরে তা সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কাছে দেন। পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) এসআইএন্ডও (অর্গানাইজড ক্রাইম-দক্ষিণ) মোঃ কামাল হোসেন,পিপিএম দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পিটিশন মামলা নং - ৪১৬/২৩।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) এর মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের নামের মামলাটি আমার কাছে তদন্তের জন্য এসেছে। আমি বাদীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং বাদীর থেকে হিরো আলমের মোবাইল নাম্বার নিয়েছি। বাদীকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে ভোটার আইডি কার্ড/ পাসপোর্ট, টাকা দিবার চেক, মামলার জিডি কপি ও সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও নিয়ে হাজির হবার অনুরোধ করেছি। সঠিক তদন্ত অনুযায়ী অবশ্যই তার শাস্তি হবে বলে জানান তিনি।’
এ মামলার বাদী সাংবাদিক আকাশ নিবির বলেন, ‘মামলাটি করার পর থেকে পুলিশকে ১৭০ বারের বেশি হাতিরঝিল থানার তদন্ত পুলিকে ফোন করেছি। স্বাক্ষী নিয়েও বার বার তাদের কাছে হেনস্তার স্বীকার হয়েছি। ৭ মাস ঘুরিয়ে সঠিক তথ্য দেয়ার পরও তাতে করে কোন ফায়দা হয়নি। পরে কোর্টে গিয়ে দেখতে পাই হাতিরঝিল থানার এস আই সুজানুর আমার সকল ভিডিও, স্বাক্ষী দেওয়া প্রমাণসহ ভুল প্রমাণ করে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের পক্ষে রিপোর্ট দাখিল করে মামলা খারিজ করার পায়তারা করেছেন। তাতে করে আমি পূণরায় কোর্টের কাছে আবেদন করি। কোর্ট তা খতিয়ে দেখে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে দায়িত্ব দিয়েছেন। এদিকে পিবিআই আমাকে একাধিকবার ফোন করেছেন। তারা তাগিদ দিয়ে আমার মামলাটি তদন্ত করছেন।’
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘একজন পেশাদার সাংবাদিক হয়ে পুলিশের কাছে সঠিক তদন্ত পাইনি। সেখানে সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে কি আশা করতে পারে! এতে করে আইনের প্রতি মানুষের ভুল ধারণা তৈরী হবে। বরং ৭ মাসের বেশি আমাকে হয়রানি করে মগবাজার জলপাই রেস্টুরেন্টে আমার নামে আইসিটি মামলার ভয় দেখিয়ে আমার করা মামলা তুলে নিবার হুমকি দেন হাতিরঝিল থানার আরেক এস.আই। তার গোপনে ছবি তুলতে গেলে আমার পেশা জানার সেই এস. আই স্থান ত্যাগ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাতসহ একাধিক সাংবাদিকবৃন্দ।’
এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাল পরশুর মধ্যে হাতিরঝিল থানার বিষয়গুলি নিয়ে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করব। যাতে এরপর আর কোন মানুষ সঠিক তথ্য প্রমাণ থাকার পরও পুলিশের কাছে হেনস্তা না হন। এছাড়াও এই থানার বিরুদ্ধে নানান মানুষের অভিযোগ রয়েছে। আমার মতে বিষয়গুলি অবশ্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা দরকার।’
প্রসঙ্গত, আইনের কোন তোয়াক্কা না করে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সাংবাদিক, মডেল, অভিনেতা, অভিনেত্রী, শিল্পী কটাক্ষের স্বীকার হয়েছেন। অন্যদিকে তার অফিসে বিভিন্ন নারীদের আসা যাওয়াসহ নেশা করার তথ্য পাওয়া গেছে।