বিনোদন ডেস্ক
অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
বিনোদন ডেস্ক
অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
দেশের নন্দিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনার মাধ্যমে তিনি সব শ্রেণির বিনোদনপিয়াসী মানুষের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন। প্রায় তিন দশক ধরে উপস্থাপনা করছেন তিনি। এখনো সমান জনপ্রিয় এই মানুষটি।
আজ (২৩) দর্শকপ্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেতের জন্মদিন। জন্মদিনে প্রথম প্রহর থেকেই তার অনুরাগীরা শুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানাচ্ছেন। তিনি সবার শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন। ১৯৫৮ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন হানিফ সংকেত। ৬৬ বছরে পা দিলেও তিনি যেন এখনো টগবগে তরুণ। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘যতদিন বাঁচি, বাঁচি যেন ভালোবাসা নিয়ে। বাঁচি যেন হৃদয়ের উত্তাপ বিলিয়ে’।
তিনি আরও লেখেন, ‘আপনাদের ব্যস্ততম জীবনে আমার এই জন্ম তারিখটি মনে রেখে যারা আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন-সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আপনাদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসাই আমার চলার পথের পাথেয়। দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন সবাই’।
হানিফ সংকেত উপস্থানার পাশাপাশি নাটক নির্মাণ করেও বেশ সফলতা লাভ করেছেন। অন্যদিকে একজন লেখক হিসেবেও নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে, ‘শ্রদ্ধেয় রাজধানী’, ‘নিয়মিত অনিয়ম’, ‘কলাম সংকলন’, ‘কষ্ট’, ‘চৌচাপটে’, ‘এপিঠ ওপিঠ’, ‘ধন্যবাদ’, ‘অকাণ্ড কাণ্ড’ ইত্যাদি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কলাম লেখেন তিনি।
হানিফ সংকেত নব্বই দশক থেকে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। ১৯৮৯ সালে ‘ইত্যাদি’র গ্রন্থনা, উপস্থাপনা ও নির্মাণ শুরু করেন তিনি। বিটিভিতে প্রচারিত‘ইত্যাদি’তে কেবল হাস্যরসকে তুলে ধরেন না হানিফ সংকেত। এতে নানান সামাজিক অসঙ্গতি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির রোধ এবং মানব সেবার কথাও বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে সমসাময়িক নিন্দিত-ঘৃণিত বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা ও তা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখেন।
‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিলেও প্রয়াত ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে প্রথম পরিচিতি লাভ করেন এই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
হানিফ সংকেত চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। এছাড়া ‘প্রথম প্রেম’ সিনেমায় ‘তু তু তু তারা, মর্জিনার বাপ মার্কা মারা’ শিরোনামে একটি গানও গেয়েছেন তিনি। সেই গান তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
গুণী এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ২০১০ সালে ‘একুশে পদক’লাভ করেছেন।
আরএস