ডা. রাহেমিন সিপতি
জুন ১৩, ২০২২, ০২:১৮ এএম
ডা. রাহেমিন সিপতি
জুন ১৩, ২০২২, ০২:১৮ এএম
সন্তানের সুস্থতা ও শিশুদের হাসিতেই থাকে বাবা মায়ের প্রশান্তি। ওদের খাওয়া, পড়াশোনা, সুস্থতা সব দিকেই যত্ন ও দায়িত্ব পালনে থাকে সতর্ক দৃষ্টি। কিন্তু শিশুদের দাঁত সম্পর্কে সঠিক ধারণা যদি না থাকে তাহলে সঠিক পরিচর্যার অভাবে আদরের সন্তানের দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। বয়সের সাথে বাবা-মায়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা বিষয়ে খেয়াল রাখা আবশ্যক। নির্দিষ্ট বয়স থেকেই নিয়মিত শিশুদের দাঁতের যত্ন নেয়া প্রয়োজন।
১. আপনার বাচ্চার দুধ দাঁত উঠবে ছয় মাস বয়স থেকে আড়াই বছর বয়স পর্যন্ত।
২. আপনার বাচ্চার মূল দাঁত উঠবে ছয় বছর বয়সের পর থেকে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত।
৩. আপনার সন্তানের আক্কেল দাঁত উঠবে সাধারণত ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে।
৪. দুধ দাঁতগুলো সাধারণত ছয় বছর বয়স থেকে ক্রমানুসারে পড়তে থাকবে।
৫. ঘুমন্ত অবস্থায় বাচ্চাকে ফিডার দিয়ে দুধ খাওয়াবেন না। ফিডারে দুধ খাওয়ালে দাঁতে ক্ষয়রোগ করে।
৬. বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর পর সুতি পাতলা কাপড় সামান্য পানিতে ভিজিয়ে দাঁত থেকে দুধের লেয়ার মুছে দিবেন যা ক্ষয়রোগ থেকে দাঁতকে রক্ষা করবে। না হলে দুধ দাঁতে ক্যারিজ হয় যার নাম নার্সিং বটল ক্যারিজ।
৭.আপনার শিশুর দাঁতের যত্ন নিন ও নিয়মিত পরিচর্যা করুন।
প্রথম ৬ বছর অন্তত তিনবার ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন, নতুবা দুধ দাঁতগুলো ঠিক সময়ে না পড়ে অনেক দেরিতে পড়তে পারে এবং সে ক্ষেত্রে মূল দাঁত ঠিক সময় ঠিক জায়গায় না উঠে আঁকাবাঁকাভাবে অন্যত্র উঠতে পারে। ফলে চোয়াল ও দাঁতে অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে। আবার সময়ের আগেই দুধ দাঁত পড়ে গেলে ও মূল দাঁত আকাবাঁকা হতে পারে।
৮. বাচ্চার আকাবাঁকা দাঁতগুলো সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করিয়ে নিলে ভালো।
৯. বাচ্চাকে চকলেট জাতীয় খাবার খাওয়ার পর ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করতে বলবেন।