ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০৩:৪৫ পিএম
বিএফ–৭ নামে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের চেয়েও চার গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কথা জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ৭ মূলত বিএ৫ এর একটি সাব ভ্যারিয়েন্ট। এটাকে বলা হয় আর ১৮, অর্থাৎ একজন থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। তার মানে অন্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এটার সংক্রমণ ক্ষমতা চার গুণ বেশি। এটির আরেকটি ভয়ানক দিক হচ্ছে যে ইনকিউবিশন পিরিয়ড অনেক কম।
তিনি বলেন, চীনে বিএফ–৫’র নতুন ধরন বিএফ–৭ শনাক্ত হয়েছে। ধরনটি ওমিক্রনের চেয়ে শক্তিশালী। কম সময়ে বেশি মানুষকে এই ধরন আক্রান্ত করতে পারে। যারা টিকা নেননি, তাদের দ্রুত টিকা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনার নতুন ধরন ভারতেও শনাক্ত হয়েছে। তাই দেশের সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আইসোলেশনে নেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এই বিএফ–৭ করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
বিএফ৭ এর লক্ষণ কেমন হবে, এবিষয়ে তিনি বলেন, করোনার অন্য ধরনের মতোই এর উপসর্গ।
বিএফ৭ এর ভয়াবহতা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে আমরা এখনও তেমন কিছু জানি না, তবে ভয়ানক বিষয় হচ্ছে টিকা না নেওয়া ব্যক্তির মধ্যে অনেক ভয়াবহ প্রভাব পড়ে। যাদের অন্যান্য রোগ আছে, অন্তঃসত্ত্বা তাদের মধ্যে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম ও করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক প্রমুখ।
টিএইচ