Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৪,

ভুল স্বীকার করলেন ডা. সংযুক্তা সাহা

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুন ২৪, ২০২৩, ০১:৪৮ পিএম


ভুল স্বীকার করলেন ডা. সংযুক্তা সাহা

প্রতারণা ও চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় আলোচনায় আসে সেন্ট্রাল হাসপাতাল। মূলত, ওই হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হয় আঁখিকে। 

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডা. সংযুক্তা সাহার বদলে অন্য ডাক্তার দিয়ে ওই নারীর ডেলিভারি করায়। ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যু হয় প্রসূতি ও নবজাতকের।

ডা. সংযুক্তা অভিযোগ করেন, নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল তার নাম ব্যবহার করে অনিয়ম করেছে। এসব ঘটনার পর ডা. সংযুক্তার বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে এসে রোগীদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা, ওটি থেকে রোগীর কনসার্ন ছাড়া ভিডিও প্রকাশ করা এবং ডা. সংযুক্তার বিএমডিসি নিবন্ধন না থাকার অভিযোগ উঠে। অবশেষে, ১৩ বছর ধরে বিএমডিসি নিবন্ধন না থাকার ভুল স্বীকার করেছেন ডা. সংযুক্তা সাহা।

শনিবার (২৪ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার আগেই নিবন্ধন নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমি এত ব্যস্ত থাকি যে, সময় পাইনি। এটা আমার ভুল হয়েছে।

ডা. সংযুক্তা বলেন, আমার নিবন্ধন আছে, কিন্তু সেটি রিনিউ করা হয়নি। বিএমডিসিতে রিনিউয়ের একটা ফি দিতে হয়, এটা গত বছর থেকেই অনলাইন সিস্টেম ছিল এটা আমি জানতাম না।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছি। আমার পক্ষে কথা বলাটাও এখন সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুন আঁখির প্রসব বেদনা ‍ওঠলে তাকে রাতেই সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তার অধীনে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ডা. সংযুক্তা সাহার বদলে ওই নারীর ডেলিভারি করতে যান ডা. মিলি। এ সময় ডা. মিলি ওই প্রসূতির পেট কাটতে গিয়ে মূত্রনালি ও মলদ্বার কেটে ফেলেন।

সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় সিজার করে বাচ্চা বের করা হয়। এতে বাচ্চার হার্টবিট কমে গেলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে। এরপর গত ১৮ জুন মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা যান।

এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র একটি মামলা দায়ের করেন আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী। মামলায় ডা. শাহজাদী, ডা. মুনা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে।

এইচআর

Link copied!