জুলাই ২৩, ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম
জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং, চিকিৎসাসেবা জোরদার ও সম্প্রসারিত করতে ইনস্টিটিউট অফ ফিমেল ক্যন্সার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান বিএসএমএমইউ উপাচার্য।
শনিবার দিনব্যাপী গোপালগঞ্জে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সভা কক্ষে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। বিশ্বের মধ্যে তিনি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিশ্বনেতা।
বিশ্বের দু’ একজন নেতার নাম বলতে গেলে শেখ হাসিনা নামটি উচ্চারণ করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো কোনো বিষয় তাঁর দেশে অনুসরণ করতে চান। তিনি বলেন, জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শিক্ষক, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সারের কারণে বছরে প্রায় ১২ হাজার মহিলা মৃত্যুবরণ করেন। এরমধ্যে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে মারা যায় ৭ হাজার ও স্তন ক্যান্সারে মারা যায় ৫ হাজার।
এই দু’টি ক্যান্সারে বছরে আক্রান্ত হয় প্রায় ২১ হাজার। এরমধ্যে ১৩ হাজার মহিলারা আক্রান্ত হয় জরায়ু ক্যান্সারে এবং ৮ হাজার আক্রান্ত হয় স্তন ক্যান্সারে। তাই স্তন ক্যান্সার ও জরায়ু মুখ ক্যান্সার নিয়ে কোনো লজ্জা নয় । এ বিষয়ে বড় ধরণের জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
এই দুই ক্যান্সার সম্পর্কে আগেভাগে জানতে ভায়া ও সিবিইসহ যত ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা রয়েছে তা মানুষকে জানাতে হবে। কোনো মা বোনের স্তনে চাকার মতো সমস্যা দেখা দিলে কোনো দেরী না করে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবা গ্রহণ করতে হবে। ব্রেস্ট ক্লিনিক এর কার্যক্রম সম্পর্কে মানুষকে বিস্তারিত জানাতে হবে।
বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিংসহ চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে মুখ্য ভূমিকা রাখছে। এই কার্যক্রম আরো জোরদার ও সম্প্রসারিত করতে ইনস্টিটিউট অফ ফিমেল ক্যন্সার প্রতিষ্ঠা করা হবে। মাননীয় উপাচার্য এসময় তাঁর বক্তব্যে উপজেলা, গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি লেভেলসহ স্ক্রীনিং প্রোগ্রামকে দেশব্যাপী বিস্তৃত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন), এ.কে.এম. নূরুন্নবী কবির, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা) মো. আব্দুস সালাম খান, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. অনুপ কুমার মজুমদার, প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডা. মো. তোফাজ্জেল হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ। কর্মশালার উদ্দেশ্য অবহিত করেন ইপিসিবিসিএসপি এর প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা। পরে সেখানে ব্রেস্ট ক্লিনিকের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
পরে সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণকারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং দেশের উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মোনাজাত করেন।
এইচআর