Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪,

ভোগান্তি কমাতে বিএসএমএমইউতে অনলাইন এ্যাপয়েন্টমেন্ট চালু

মো. মাসুম বিল্লাহ

আগস্ট ১, ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম


ভোগান্তি কমাতে বিএসএমএমইউতে অনলাইন এ্যাপয়েন্টমেন্ট চালু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রোগীদের ভোগান্তি কমাতে বহির্বিভাগে অনলাইন এ্যাপয়েন্টমেন্ট পদ্ধতির শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১লা আগস্ট) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এর শুভ উদ্বোধন করেন।

এই কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সকালে এসে রোগীদের ভীড়ের মধ্যে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। একজন রোগী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট বিএসএমএমইউ ডট ইডিইউ ডট বিডিতে গিয়ে অনলাইন এ্যাপয়েন্টমেন্ট ট্যাবে ক্লিক করে তাঁর প্রয়োজনীয় বিভাগে সুবিধাজনক সময়ে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন।

এই সেবা ৪৩টি বিভাগে চালু হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন ১৬৫০ জন রোগী এই সুবিধা পাবেন। পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে এবং অনলাইন পদ্ধতির ধাপে ধাপে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বড় ধরণের মাইল ফলক হয়ে থাকবে। এ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার সময়গুলো হলো সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে সাড়ে ৯ টা, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা এবং দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১.২৯ মিনিট পর্যন্ত।

এর ফলে রোগীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইন এ্যাপয়েন্টমেন্ট অপশন গিয়ে নিজের নাম, বয়স, চিকিৎসার বিভাগ, মোবাইল নম্বর ও এ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় উল্লেখ করে সাবমিট দিতে হবে। এখানে রোগীরা পছন্দমত সময় নিতে পারবেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন,  শিক্ষা, গবেষণা ও সেবায় আগের চেয়ে সেরা অবস্থানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। পদ্মা সেতু হওয়ায় দৈনিক রোগী বেড়েছে ১ হাজারের বেশি। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় আরও দু’ হাজার রোগী বাড়বে। যোগাযোগ ব্যবস্থা যত ভালো হবে, ততই আমাদের এখানে রোগীদের চাপ বাড়বে। এজন্য আমাদের দক্ষ ও প্রচুর জনবল দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি শাখায় জনবল বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, রোগী সেবার ক্ষেত্রে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল এমন জায়গায় যাবে যে রোগীরা বিদেশে যাবে না, সেই আস্থা আমরা তৈরি করবো। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে হেলথ ইনফরমেশন সিস্টেম চালু রয়েছে। এটিও এখানে চালু করা হবে। আজই দেশে প্রথমবারের মত এক শিশুর শরীরে তার মায়ের কিডনি সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিট।

এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক দেশের প্রখ্যাত য়র রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। কিডনী দাতা মায়ের বয়স ৪৫ বছর এবং তাঁর সন্তানের বয়স ১৭ বছর। বর্তমানে দু জনেই সুস্থ আছেন।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারিগরী বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন আইটি অফিসের ইনচার্জ ও ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

এইচআর

Link copied!