নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
রাজশাহীতে তিন দিনের ব্যবধানে মারা যাওয়া দুই শিশু মারিশা (২) ও মুফতাউল মাশিয়া (৪) নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলো না।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন।
এর আগে, দুই বোনের মধ্যে ছোটটি মারিশা বুধবার বিকেলে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। বড় বোন মাসিয়ার মৃত্যু হয় গতকাল শনিবার। হঠাৎ করে দুই মেয়ের মৃত্যুর পর মা-বাবাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই শিশুর মৃত্যু নিপাহ ভাইরাসে না অন্য কোনো অজানা ভাইরাসে হয়েছে, তা নিশ্চিত করে চিকিৎসকেরা বলতে পারছিলেন না। এরপর তাদের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।
আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘ওই দুই শিশুর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না।’
দুই শিশুর হঠাৎ মৃত্যু কোনো অজানা ভাইরাসে হয়েছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা ছিল। এ বিষয়ে ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘শুধু এটুকু বলতে পারি, নিপাহ ভাইরাসে তাদের মৃত্যু হয়নি। অন্য কোনো ভাইরাসে হয়েছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়নি।’
এদিকে ওই দুই শিশুর বাবা মঞ্জুর হোসেন (৩৫) ও মায়ের নাম পলি খাতুনকে (৩০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের শরীরে নিপাহ ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি না, তা শনাক্তে পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার হঠাৎ জ্বর আর বমির কারণে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারিশা মারা যায়। তার মৃত্যুর তৃতীয় দিনে একই লক্ষণ নিয়ে মাশিয়াও মারা যায়। মৃত্যুর আগে ও পরে দুই শিশুরই শরীরে ছোপ ছোপ কালো দাগ দেখা দিয়েছিল। তবে এটি কোনো ভাইরাসের সংক্রমণে হতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকেরা।
মারিশা ও মাশিয়ার বাবা মনজুর রহমান রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রী পলি খাতুন গৃহিণী। বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তবে তারা রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই থাকেন।
আরএস