Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪,

পৌনে ছয় লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ৩০, ২০২৪, ০৯:২২ পিএম


পৌনে ছয় লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি

৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। আগামী শনিবার (১ জুন) উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডের ১৯শ’ ৪ টি কেন্দ্র এই ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশান-২ নগরভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

তিনি জানান, ‍‍`শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক অনুপুষ্টি। ভিটামিন’এ’চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী,বছরে ০২ বার ভিটামিন’এ’ এর অভাব পূরণে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন’এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।‍‍`

তিনি বলেন, ‍‍`আগামী ১ জুন শনিবার সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুদের ১টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস। বয়সী সকল শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল বিনা মূল্যে খাওয়াতে পারে। এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বর্তা প্রচার করা হবে।

তিনি আরও জানান, এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এই ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের পক্ষে এ কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকেই ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে অণারকির জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ভিজিলেন্স টিম নিয়োজিত থাকবেন।‍‍`

তিনি আরও জানান, ‍‍`এবারের ক্যাম্পেইনে মোট ৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সের শিশুর ১০৩৮৮৮ জন ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের ৪৭৫৩৭৯ জন শিশু। এ কার্যক্রমটি মোট ১৯০৪ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এই কাজ পরিচালনা করতে স্বাস্থ্যকর্মী, স্বাস্থ্যসেবী হিসেবে ৩৮০৮ জন নিয়োজিত থাকবে।‍‍`

আরএস

Link copied!