Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪,

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৪৪

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

অক্টোবর ১, ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম


ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৪৪

ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৬ জনে। আর চলতি বছর রেকর্ড গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৮২ জনে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ১৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছেন ৪৪১ জন। ঢাকা বিভাগে ২৫২ জন, বরিশালে ৯৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৪ জন, খুলনায় ৮১ জন, ময়মনসিংহে ৩৫ জন ও রাজশাহীতে ৩৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩২ হাজার ৮২ জনের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ শতাংশ নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৬৬ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এ রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।

আরএস

Link copied!