Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম


ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু না ঘটলেও এই রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৫৮ জনে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যা সংখ্যায় দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। পাশাপাশি এই সময়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ১২ জন করে মোট ২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একই সময়ে ঢাকা বিভাগে ১১ জন ছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন এবং সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৩৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৭ জন; আর ৫৭৮ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।

এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৬০ হাজার ৩৬২ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০ হাজার ১‌৯৬ জন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশানিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ডেঙ্গু ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমাদের সব জায়গায় হাসপাতালগুলোকে অ্যালার্ট (সতর্ক) করে দেওয়া আছে।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সকলকে সচেতন করতে। বিভিন্ন জায়গায় কথা বলছি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।

আরএস

Link copied!