আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জুলাই ১৪, ২০২২, ০২:১৪ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জুলাই ১৪, ২০২২, ০২:১৪ পিএম
নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৫টি পিস্তল বহনকারী এক ভারতীয় দম্পতিকে আটক করেছে কাস্টমস অফিসার। বুধবার (১৩ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে। তারা ভিয়েতনামফেরত যাত্রী ছিলেন।
বুধবার (১৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, বাজেয়াপ্ত বন্দুকগুলো আসল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) সন্ত্রাস দমন শাখা এই মামলার তদন্ত করছে।
তবে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাজেয়াপ্ত হওয়া সবগুলো বন্দুকই ‘আসল’। তবে বন্দুকগুলো আসল কি না তা ব্যালিস্টিক রিপোর্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হবে।
টুইটারে বার্তাসংস্থা এএনআই’র পোস্ট করা ছবিতে একটি টেবিলের ওপর বাজেয়াপ্ত বন্দুকগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া আরও বন্দুক একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ফেলে রাখা হয়েছে বলেও দেখা যাচ্ছে।
এদিকে বার্তাসংস্থা পিটিআই’কে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছে যে, বাজেয়াপ্ত বন্দুকগুলো সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী।’
সংবাদমাধ্যম বলছে, ৪৫টি বন্দুকসহ আটককৃত দু’জনের নাম জগজিৎ সিং এবং জাসবিন্দর কৌর। তারা দম্পতি। এরা গত ১০ জুলাই ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি থেকে ভারতে ফিরেছিলেন। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। জগজিৎ সিং দু’টি ট্রলি ব্যাগে পিস্তলসহ ধরা পড়েন। এগুলো তাকে তার ভাই মনজিৎ সিং দিয়েছিল।
শুল্ক কর্মকর্তাদের মতে, নারী যাত্রী তার স্বামীকে বন্দুক ভর্তি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে পালাতে সাহায্য করেছিল। ব্যাগে থাকা ট্যাগগুলো সরিয়ে ফেলে স্বামীকে সাহায্য করেছিল স্ত্রী।
এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পুরুষ যাত্রী যে দু’টি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছিল, তা পরীক্ষা করে তাতে ৪৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বন্দুক রয়েছে বলে দেখা যায়। উদ্ধারকৃত বন্দুকের আনুমানিক মূল্য ২২ লাখ রুপি।’
এদিকে অভিযুক্ত দম্পতি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, তারা এর আগে তুরস্ক থেকে ২৫টি পিস্তল ভারতে এনেছিল। ঘটনার প্রেক্ষিতে আরও তদন্ত চলছে।
এছাড়া ভিয়েতনামে এই বন্দুক ভর্তি ট্রলি নিয়ে দু’জন ফ্লাইটে উঠল কীভাবে তা এখনও স্পষ্ট হতে পারেননি ভারতীয় তদন্তকারীরা। সুত্র : নিউজজি
আমারসংবাদ/টিএইচ