জুলাই ২০, ২০২২, ১০:৪০ এএম
আজ বুধবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন দেশটির এমপিরা।
গোতাবায়া রাজাপক্ষের গদিতে কে বসবেন তা ঠিক করতে গোপনে ভোট দেবেন পার্লামেন্টের সদস্যরা।
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। জনরোষ থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালান রাজাপক্ষে। এরপর প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফাও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে। তিনি যেমন দেশের প্রধানমন্ত্রী, তেমনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীও। কিন্তু বিক্রমাসিঙ্ঘের প্রার্থীপদ নিয়ে অসন্তুষ্ট শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ।
দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দেশকে বাঁচাবেন কে? ৭৩ বছরের বিক্রমাসিঙ্ঘেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে গোতাবায়ার দল, এসএলপিপি। অতীতে ৬ বার দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলেছেন বিক্রমাসিঙ্ঘে।
দু’বার লড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও। কিন্তু হেরে যান। শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী। বিক্ষোভকারীরা কিন্তু বিক্রমাসিঙ্ঘেকে পছন্দ করছেন না। তাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে গোলমালের আশঙ্কায় দেশের সবক’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই মূলত তিনজনের মধ্যে। বিক্রমাসিঙ্ঘের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এসএলপিপির–ই বিদ্রোহী সদস্য ডালাস আলাহাপ্পেরুমা। শাসকদলের বিক্ষুব্ধ নেতারা সমর্থন করছেন এই প্রাক্তন সাংবাদিককে। শেষ মুহূর্তে প্রেসিডেন্টের দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন দেশের প্রধান বিরোধী দল এসজেবি–র নেতা সাজিথ প্রেমদাসা।
বিরোধীরা আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সমর্থন করবেন আলাহাপ্পেরুমাকে। তৃতীয় প্রার্থী রয়েছেন বামপন্থী নেতা আনুরা কুমার দিসানায়েক। যদিও মূল লড়াই হবে এসএলপিপির দুই প্রার্থী বিক্রমাসিঙ্ঘে ও আলাহাপ্পেরুমা–র মধ্যে।
আমারসংবাদ/এআই