জুলাই ৩০, ২০২২, ০৯:৫৩ এএম
বিশ্বজুড়ে শুক্রবার করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৮ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় এ দিন মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯০৭ জনের। এছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ৬০ হাজার ৫০৬ জন।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এসব তথ্য।
শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণ বিশ্বে শীর্ষে ছিল জাপান; আর এ দিন কোভিডজনিত অসুস্থতায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
জাপানে শুক্রবার করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার ৫৫ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১১৬ জন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে এ দিন কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ২৮৬ জনের এবং করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯৯ হাজার ৬১ জন।
জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত বিশ্বের আরও যেসব দেশে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব দেশ হলো— ইতালি (মৃত ২৪৪ জন, নতুন আক্রান্ত ৫৪ হাজার ৮৮ জন), ব্রাজিল (মৃত ২২৮ জন, নতুন আক্রান্ত ৪২ হাজার ৮১৬ জন), অস্ট্রেলিয়া (মৃত ১৫৭ জন, নতুন আক্রান্ত ৪৫ হাজার ২৪৫ জন), মেক্সিকো (মৃত ১১৩ জন, নতুন আক্রান্ত ২৪ হাজার ৮৯৩ জন), স্পেন (মৃত ১০৯ জন, নতুন আক্রান্ত ৭ হাজার ৭৮৩ জন) ও দক্ষিণ কোরিয়া (নতুন আক্রান্ত ৮৫ হাজার ২৭৫ জন, মৃত ৩৫ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৬ লাখ ১০ হাজার ১৭৩ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮৯০ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন ৪২ হাজার ২৮৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৮ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ১৫৩ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৪ লাখ ১৭ হাজার ৫৭০ জনের।
এছাড়া গত আড়াই বছরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৫৫ কোটি ৮ লাখ ২ হাজার ৫১০ জন।
কেএস