Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪,

পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আত্মহত্যার শামিল: জাতিসংঘ মহাসচিব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগস্ট ১৯, ২০২২, ১২:৪০ পিএম


পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আত্মহত্যার শামিল: জাতিসংঘ মহাসচিব

ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের পাশে ইউক্রেনীয় ও রুশ সৈন্যদের মধ্যকার লড়াইয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছে লড়াইয়ের বিষয়ে তিনি ‍‍`গুরুতর উদ্বিগ্ন‍‍`।

সেখানে যেকোনো সম্ভাব্য ক্ষতিকে আত্মহত্যার শামিল হিসেবেও বর্ণনা করেছেন তিনি।

বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিব ইউক্রেনের লভিভে শহরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেছেন।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর জেলেনস্কির সঙ্গে এই প্রথম বৈঠক করলেন জাতিসংঘ প্রধান। ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর এরদোয়ানও সে দেশে এটি প্রথম সফর।

জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে আরেকটি চেরনোবিল বিপর্যয়ের বিপদ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়ার প্রতি পারমাণবিক কেন্দ্রের অঞ্চলকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এবং ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তবে মস্কোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।

জাপোরিজ্জায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রুশ প্রধান ইয়েভজেনি বালিতস্কি রোবরার টেলিগ্রামে এক বার্তায় বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেলের মজুত লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় প্রশাসনিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যেহেতু পারমাণবিক প্রকল্পটি রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে এবং সেখানে রুশ সেনারাই অবস্থান করছে, তাহলে ঠিক কী কারণে রুশ সেনারাই সেখানে হামলা চালাবে তা স্পষ্ট করেনি কিয়েভ।

চলতি বছরের মার্চে জাপোরিঝিয়ায় হামলা চালায় রুশ সেনারা। ইউক্রেন সে সময় দাবি করে, রুশ গোলার আঘাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে আগুন ধরে যায়।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা ওই সময় জানিয়েছিলেন, ওই কেন্দ্রের চুল্লি গলে গেলে চেরনোবিলের থেকে ১০ গুণ বেশি ভয়াবহ হতে পারে। 

এর আগে ১৯৮৬ সালে ইউক্রেনের চেরনোবিলে সোভিয়েত আমলে এক পারমাণবিক দুর্ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পারমাণবিক প্রযুক্তির ইতিহাসে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।

২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর ২০ বছরে তেজস্ক্রিয়তার পরোক্ষ প্রভাবে প্রায় ৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। 

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা


আমারসংবাদ/টিএইচ

Link copied!