আগস্ট ২৪, ২০২২, ১২:০৬ পিএম
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে প্রায় দুই হাজার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে জড়ো হয়েছেন।
ছয় মাস আগেও এসব বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়েছিল। সেই সময় সেখান থেকে তাদের জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়। খবর ভয়েজ অব আমেরিকার।
‘ফ্রিডম অ্যান্ড রাইটস কোয়ালিশন’- এ বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। বিক্ষোভে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে মানুষ রাজধানী ওয়েলিংটনে পার্লামেন্ট ভবনের মাঠে জড়ো হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের কারো কারো হাতে স্বাধীনতার দাবিতে লেখা প্ল্যাকার্ড ধরা ছিল। কেউ কেউ কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার দাবি করেন। খবর রয়টার্সের।
কৃষকদের জন্য কঠোর পরিবেশগত বিধিবিধান মেনে চলা এবং আঞ্চলিক মালিকানাধীন জলাধারগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিতে নিউজিল্যান্ড সরকারের উদ্যোগের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা।
হ্যামিলটন শহরের কাছ থেকে বিক্ষোভে অংশ নিতে আসা ড্যানি হানিফ বলেন, আমাদের সরকার আসলে আমাদের জন্য কাজ করছে না।
বিক্ষোভকারীদের আটকাতে পার্লামন্টের সামনে বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রচুর পুলিশ পার্লামেন্টে ঘিরে অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে গত মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা।
যে কারণে রাজধানীতে কয়েক সপ্তাহ জনজীবনে বিঘ্ন ঘটেছিল। পুলিশ ওই সময় জোর করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।
পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ নিয়ে আগের দিন সোমবার নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’র্ডুর্ন বলেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পার্লামেন্ট শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে স্বাগত জানিয়ে আসছে। তিনি চান এটি চলুক। তবে তিনি মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেননি।
আমারসংবাদ/টিএইচ