Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কে এই লিজ ট্রাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ০৮:১৩ পিএম


ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কে এই লিজ ট্রাস

যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটে দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন লিজ ট্রাস, তিনিই দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। 

আগামীকাল বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিদায় নেয়ার পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।

কনসারভেটিভ পার্টির পেছন সারি থেকে যেভাবে সরকারের শীর্ষ পদে তার দ্রুত উত্থান ঘটেছে, তা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া লিজ ট্রাসের পুরো নাম মেরি এলিজাবেথ ট্রাস। ১৯৭৫ সালের ২৬ জুলাই ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন কেনেথ এবং প্রিসিলা মেরি ট্রাসের ঘরে জন্মগ্রহণ।

ছোটবেলা থেকেই তিনি বেশি পরিচিত ছিলেন এলিজাবেথ নামে। তার বাবা ছিলেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক। মা-ও ছিলেন শিক্ষক। ট্রাসের বয়স যখন চার বছর, তখন তার পরিবার চলে আসে স্কটল্যান্ডে।

অক্সফোর্ডের মেরটন কলেজে পড়াশোনা করেছেন ট্রাস। সেসময় লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে সক্রিয় ছিলেন তিনি। 

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি লিবারেল ডেমোক্র্যাটসের প্রেসিডেন্ট এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাট যুব ও ছাত্রদের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন লিজ ট্রাস। তবে ১৯৯৬ সালে স্নাতক হওয়ার পর যোগ দেন কনজারভেটিভ পার্টিতে। 

বামপন্থি পরিবারে জন্ম নেয়া ট্রাস প্রথমে লিবারেল ডেমোক্র্যাট ছিলেন। তবে ২০১০ সালে তিনি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ট্রাস ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন।

তবে ব্রিটিশরা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলে তিনি দ্রুতই ব্রেক্সিটের কট্টর সমর্থক হয়ে উঠেছিলেন।

এরপর ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লিজ ট্রাসকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে গড়া প্রতিনিধি দলের প্রধান করেছিলেন।

২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের নারী ও সমতা বিষয়ক মন্ত্রী এবং ২০২১ সাল থেকে পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাস। 

ডেভিড ক্যামেরন, থেরেসা মে এবং বরিস জনসনের অধীনে তিনি মন্ত্রিসভার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

লিজ ট্রাস যেসব পোশাক পরেন এবং ছবি তোলার জন্য যেসব জায়গা বেছে নেন, যেমন এস্তোনিয়ায় গিয়ে ট্যাঙ্কে এবং মস্কোয় গিয়ে পশমের টুপি পরে ছবি তোলা, ইত্যাদি কারণে অনেকে তাকে প্রথম নারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে তুলনা করেন।

ইউক্রেন ইস্যুতে তিনি রাশিয়ার কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত।

বেশ কিছু কেলেংকারির কারণে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বরিস জনসন। এরপরই কনজারভেটিভ দলের নতুন প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। 

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটার ছিলেন কনজারভেটিভ দলের প্রায় দুই লাখ সদস্য। ভোটে ট্রাস সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে পরাজিত করেন। 

সুনাক জিততে পারলে তিনি ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী হতেন। মোট ভোট পড়েছে ৮২.৬ শতাংশ। ট্রাস পেয়েছেন ৮১,৩২৬ ভোট। সুনাক পেয়েছেন ৬০,৩৯৯টি। 

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাস বলেন, জনগণ এবং দেশের অর্থনীতি উভয়ের জন্যই জ্বালানি বিল নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা ‘জরুরি’। 

প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে একটি জরুরি বাজেট থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি পাউন্ড কর কমিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।


টিএইচ

Link copied!