সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ১১:০২ এএম
রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে গণভোটের প্রথম আংশিক ফলাফলে দেখা গেছে, গণভোটে রাশিয়ার অংশ হওয়ার পক্ষে ৯৬ শতাংশের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তবে, কিয়েভ ও পশ্চিমারা এই গণভোটকে ছলচাতুরি হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রুশ নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়ায় গণভোট শুরু হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজিয়া এবং খেরসন- এই ৪টি অঞ্চলে ৫ দিন ধরে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ইউক্রেনের প্রায় ১৫ শতাংশ এলাকা।
ইউক্রেন ও পশ্চিমারা বলেছে, ওই ৪টি অঞ্চল দখলে এটি রাশিয়ার একটি আইনি অজুহাত তৈরির অবৈধ, দমনমূলক প্রক্রিয়া। যেন এই ৪টি অঞ্চলে পুনরায় দখলে ইউক্রেনের যে কোনো প্রচেষ্টাকে রাশিয়ার ওপর আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গত সপ্তাহে পুতিন বলেন, রাশিয়ার `আঞ্চলিক অখণ্ডতা` রক্ষায় তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পিছপা হবেন না।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা ভোটের শাস্তি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রাশিয়ার ওপর আরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, রাশিয়ার এই উদ্যোগ যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আনবে না।
কিয়েভ বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, রাশিয়ার অতিরিক্ত অঞ্চল দখল করলে তা শান্তি আলোচনার যে কোনো সুযোগ নষ্ট করে দেবে। এতে বলা হয়েছে, যেসব ইউক্রেনীয়রা রাশিয়াকে ভোট আয়োজনে সহায়তা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, প্রাথমিক গণনায় দেখা গেছে - খেরসন অঞ্চলে ৯৬.৯৭ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং জাপোরিজিয়ায় রাশিয়ার পক্ষে ৯৮.১৯ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল ৯৮ শতাংশের নিচে।
ইউক্রেন দাবি করেছে, অনেক ক্ষেত্রে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
পুতিন মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, জাতিগত রাশিয়ান ও রুশভাষীদের রক্ষা করতে এই ভোট। যা যা কিয়েভ অস্বীকার করেছে।
ইএফ