অক্টোবর ১২, ২০২২, ০৩:৩২ পিএম
গত শনিবার (৮ অক্টোবর) অধিকৃত ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়াকে যে সেতুটি যুক্ত করেছে সেটির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এটি ছিল পুতিনের জন্মদিনের একদিনের পরের ঘটনা।
সেতুতে বিস্ফোরণে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। সেতুতে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে একে `সন্ত্রাসী তৎপরতা` বলে বর্ণনা করেন ভ্লাদিমির পুতিন।
সেতুতে বিস্ফোরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আট ব্যক্তিকে আটকের খবর জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির এফএসবি সিকিউরিটি সার্ভিস বলেছে, আটককৃতের মধ্যে পাঁচজন রাশিয়ান। বাকিরা ইউক্রেনীয় ও আর্মেনিয়ান।
সংস্থাটি বলছে, এই বিস্ফোরণের পেছনে ইউক্রেনের হাত রয়েছে। তবে ইউক্রেনীয় এক কর্মকর্তা রাশিয়ার এই তদন্তকে ‘অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এই খবর দিয়েছে।
কিয়েভ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা হুগো ব্যাচেগা বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের অন্যতম বড় শহর খেরসনে পাঁচটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। যদিও একটি অসমর্থিত সূত্র বলেছিল, শহরটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর আছে। কি কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
এ ছাড়া ইউক্রেনীয়দের নিয়ন্ত্রণে থাকা বেশ কয়েকটি শহরেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইউক্রেনের ইমার্জেন্সি মিনিস্ট্রি জানিয়েছে, জাপোরিঝিয়ায় এবং এর আশপাশে বেশ কয়েকটি এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
এর মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপোরিঝিয়ার উপশহরস্থ একটি আবাসিক ভবনে পড়ে। এতে ভবনটি ধসে যায়। ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক পরিবারকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, দিনিপ্রো অঞ্চলের নিকোপোলে গোলায় ছয় বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
টিএইচ