নভেম্বর ৮, ২০২২, ১২:৫০ পিএম
বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার থেকে ভারতের প্রায় পুরো টিমই ছাঁটাই করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নতুন মালিক ইলন মাস্ক। ভারতের টুইটার টিমের ২৩০ কর্মী মধ্যে প্রায় ১৮০ জনকেই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) থেকেই কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে। এরপর থেকে টুইটারের অফিসগুলোও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস ও দ্য মিন্টের খবরে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, চাকরিচ্যুতদের মধ্যে কন্টেন্ট, পার্টনারশিপ, কন্টেন্ট কিউরেশন, সেলস, সোশ্যাল মার্কেটিংসহ প্রায় সব টিমেরই কর্মী রয়েছেন। কর্মীদের কাছে পাঠানো একটি ইমেইলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
শুক্রবার ছাঁটাই হওয়া এক কর্মী ইকোনমিক টাইমসকে জানিয়েছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই দেখেন, অ্যাক্সেস নেই। কোম্পানিটির পক্ষ এক ইমেইলে জানানো হয়, সাময়িকভাবে অফিস বন্ধ করা হয়েছে, তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে এবং অ্যাক্সেস রোধ করা হয়েছে।
দ্য মিন্টের খবরে বলা হয়, গত ৪ নভেম্বর ভারতীয় সময় ভোর ৪টার দিকে (বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৪টা) বিশ্বব্যাপী টুইটারকর্মীরা ছাঁটাই সংক্রান্ত ইমেইল পেতে শুরু করেন। যেসব কর্মী চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের অফিসিয়াল ইমেইল ও মেসেজিং ব্যবস্থা স্ল্যাক সংযোগ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, কেবল অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনাকারী এবং সরকারি সংযোগ সংক্রান্ত টিমের কিছু কর্মী ছাঁটাই হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন। তবে টিকে যাওয়া কর্মীদের ‘আপাতত’ কাজের জন্য রাখা হয়েছে। তাদের ভূমিকার বিষয়ে শিগগির সিদ্ধান্ত নেবে টুইটার।
এর আগে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পর খরচ কমানোর পরিকল্পনা করছেন। তিনি টুইটারের ৫০ ভাগ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাস্ক টুইটারের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর ও সাবেক প্রধান নির্বাহী পরাগ আগারওয়ালকে বরখাস্ত করেছেন।
এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিশ্বজুড়ে টুইটারের কর্মী সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে সাত হাজার। তার আগের বছর ছিল সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো। অর্থাৎ, এক বছরে প্রায় দুই হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দিয়েছিল তৎকালীন টুইটার কর্তৃপক্ষ।
এবি