নভেম্বর ৯, ২০২২, ১১:১০ এএম
যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি জয়ের পথে রয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস (প্রতিনিধি পরিষদ) এবং সিনেটের পাশাপাশি কয়েক জায়গায় গর্ভনরের আসন দখলের লড়াই চলছে। প্রাথমিক ফলাফলে এখন পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেটে ভোটে এগিয়ে রয়েছে রিপাবলিকানরা। তারা ১৭০ আসনে বিজয় নিশ্চিত করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে সেনেটে দুই পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ছবি স্পষ্ট হলেও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা অনেকটা এগিয়ে আছে, আর এ কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রয়োজনীয় পাঁচটি আসনও তারা তুলে নেবে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। গভর্নর নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলেও রিপাবলিকানরা সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছে।
গতকাল স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পুরো ৪৩৫ আসন এবং সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৩৫টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান নেতা রন ডেসান্টিস ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী চার্লি ক্রিস্টকে গভর্নর নির্বাচনে পরাজিত করেছেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। আর সিনেটে ডেমোক্র্যাটিক নেতা চাক শুমার এবং জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান নেতা জন থুনে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। তারা ১৭০ আসনে জয় নিশ্চিত করেছে। আর জো বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পেয়েছে ১১৪টি আসন। হাউজের নিয়ন্ত্রণ দখলে প্রয়োজন মোট ২১৮টি আসন। তবে সিনেটের দখল নিয়ে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় ৫০ আসনের মধ্যে ৪৬টির দখল নিয়ে এগিয়ে রয়েছে রিপাবলিকানরা। আর ডেমোক্র্যাটদের হাতে রয়েছে ৪৫টি আসন।
বিবিসির পরিসংখ্যান বলছে, সিনেটে রিপাবলিকানরা ৪৬টি আসনে এবং ডেমোক্র্যাটরা ৪৫টি আসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর প্রতিনিধি পরিষদে ১৭০-১১৪ আসনে এগিয়ে ট্রাম্পের দল। বর্তমানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের টাই-ব্রেকিং ভোটে সিনেট নিয়ন্ত্রণ করছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। মঙ্গলবারের আগে ৪ কোটি ৬০ লাখের বেশি মার্কিন ভোটার মেইল অথবা সশরীরে আগাম ভোট দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিগত দুই বছর ধরে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে ডেমোক্র্যাটরা। এরফলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য যে কোনো আইন পাস করা সহজ হয়েছে। কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে সেই সুযোগ আর থাকবে না ডেমোক্র্যাটদের।
এআই