ডিসেম্বর ৩, ২০২২, ১০:৪৯ এএম
শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় বিশ্বজুড়ে অব্যাহত আছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। তবে মহামারির প্রথম দুই বছর ২০২০ ও ’২১ সালের তুলনায় চলতি বছর অনেকটাই কমে এসেছে এ রোগে আক্রান্ত হওয়া ও প্রাণহানির হার।
শুক্রবার বিশ্বে করোনায় করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮৫ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় ভুগে মৃত্যু হয়েছে ৯১৪ জনের। এছাড়া এইদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৪১৭ জন।
মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
শুক্রবার করোনায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষে ছিল জাপান; দেশটিতে এদিন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৯২৮ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ১৮৭ জন।
জাপান ব্যতীত আরও যেসব দেশে শুক্রবার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব হলো— যুক্তরাষ্ট্র (মৃত ১৪৯ জন, নতুন আক্রান্ত ৩২ হাজার ৭২৪ জন), ব্রাজিল (মৃত ১৩১ জন, নতুন আক্রান্ত ৩৯ হাজার ২৫১ জন) ফ্রান্স (মৃত ৬৮ জন, নতুন আক্রান্ত ৫৯ হাজার ৮ জন), রাশিয়া (মৃত ৫৭ জন, নতুন আক্রান্ত ৬ হাজার ৭২১ জন) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (মৃত ৫৬ জন, নতুন আক্রান্ত ৫২ হাজার ৯৮৭ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬৭ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৫৮ লাখ ৪২ হাজার ৭২৫ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৩৭ হাজার ৮২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৪ কোটি ৯২ লাখ ৪৫ হাজার ২৯২ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৬ জনের।
এছাড়া গত আড়াই বছরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৬২ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ৯০৯ জন।
কেএস