Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

উন্নত জীবনের আশায় পথেই ৫০ হাজার অভিবাসীর ‘প্রাণহানি’

মো. মাসুম বিল্লাহ

ডিসেম্বর ৪, ২০২২, ১০:৫০ এএম


উন্নত জীবনের আশায় পথেই ৫০ হাজার অভিবাসীর ‘প্রাণহানি’

২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন অভিবাসন রুটে প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি অভিবাসী জাতিসংঘ জানিয়েছে এই তথ্য। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম ২০১৪ সাল থেকে যাত্রাপথে অভিবাসী মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।

সংস্থাটির ‘মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রজেক্ট’ সর্বশেষ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গত দশ বছরে ৫০ হাজারের বেশি অভিবাসী বিভিন্ন রুটে প্রাণ হারিয়েছেন।

আইওএম বুধবার জানিয়েছে, নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশের পরিচয় জানা যায়নি। অর্থাৎ তারা অভিবাসী হলেও কোন দেশ থেকে এসেছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে এমনও হতে পারে যে তাদের পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুর খবর হয়ত জানেনও না।

অভিবাসন রুটে প্রাণ হারানো যাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের মধ্যে নয় হাজারের বেশি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন। আর সাড়ে ছয় হাজারের বেশি এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নাগরিক।

আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং মিয়ানমারের নাগরিকরা অনিয়মিত পথে অভিবাসনের চেষ্টা করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। দেশ তিনটিতে গত বেশ কয়েক বছর ধরেই সংঘাত চলছে যা থেকে বাঁচতে অনেকে পালাতে বাধ্য হন।

গত ৮ বছরে এভাবে নিহতদের মধ্যে এক হাজার ৭৯৫ জন আফগান নাগরিক। একই সময়ে মিয়ানমার থেকে আসা এক হাজার ৪৬৭ জন বিভিন্ন অভিবাসন রুটে প্রাণ হারিয়েছেন।

তারা মূলত রোহিঙ্গা শরণার্থী, যাদের মিয়ানমার নিজের দেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে না। আর সিরিয়ার এক হাজার ১১৮ জন নাগরিক একই সময়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকালে মারা গেছেন।

আইওএম-এর প্রতিবেদনে ইথিওপিয়া, মেক্সিকো এবং মরক্কোর নাগরিকদের কথা বিশেষভাবে বলা হয়েছে। আর আইওএমের বিবেচনায় সবচেয়ে বিপজ্জনক রুট হচ্ছে ভূমধ্যসাগর। ২০১৪ সাল থেকে যেসব অভিবাসী যাত্রা পথে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের অন্তত অর্ধেক এই সাগরে মারা গেছেন।

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে অনিয়মিত পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি ও গ্রিসে প্রবেশের চেষ্টা করেন অনেক অভিবাসী। এই রুটে অনেক বাংলাদেশিও মারা গেছেন।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস  
 

ইএফ

Link copied!