ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০১:৩৭ পিএম
আফগানিস্তানে মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত তালেবান নিয়েছে তা ইসলামী শরিয়া আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন মিশরের আল আজহার মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েব।
সুন্নি মতাবলম্বী এ ইমাম এক বিবৃতিতে বলেন, শরিয়া আইনে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নারী ও পুরুষকে জ্ঞানার্জন করতে বলা হয়েছে।
উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ‘হতবাক করার মতো’ বর্ণনা করে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য তিনি তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহের শুরুতে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার সেদেশের নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করে এবং প্রাইভেট টিউশন কেন্দ্রগুলোর প্রতি আদেশ দেয় যেন তারা কোন ছাত্রীকে শিক্ষাদান না করে।
মিশরের ইজিপ্ট টুডে ও আহরাম নামে দুটি সংবাদপত্র জানাচ্ছে, ইমাম আহমেদ আল-তায়েব তার বিবৃতিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দু’হাজারেরও বেশি উক্তি উদ্ধৃত করেন এবং বিজ্ঞান, শিক্ষা ও রাজনীতির মত ক্ষেত্রে বহু মুসলিম নারীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
যেসব মুসলিম ও অমুসলিম ‘নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা ইসলামে অনুমোদিত’ বলে বিশ্বাস করে তাদের সতর্ক করে ইমাম আল-তায়েব বলেন, ইসলাম এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে, কারণ এটা ইসলামে নারী ও পুরুষকে যে সমান আইনী অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে তার বিরোধী। কাজেই এর বিপরীত কোন দাবি করা ধর্মবিরোধী।
বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যেই আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপের নিন্দা করেছে।
তবে তালেবানের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী নেদা মোহাম্মদ নাদিম বলেন, মেয়েরা পোশাকসংক্রান্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলছিল না বলেই এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
নেদা মোহাম্মদ নাদিম আরও বলেন, কিছু নারী শিক্ষার্থী এমন পোশাক পরছিল যাতে মনে হতো যেন তারা কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। বিজ্ঞানের মত কিছু বিষয় আছে যা মেয়েদের পড়ানোর উপযুক্ত নয়। সূত্র: বিবিসি
কেএস