জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০২:২৮ পিএম
মিয়ানমারে ১১২ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা নাগরিককে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদলত। অবৈধভাবে মিয়ানমার ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাদের এই সাজা দেওয়া হয়। আল-এরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত ১১২ জনের মধ্যে ১২ জন শিশু রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দণ্ডপ্রাপ্ত শিশুদের মধ্যে ১৩ বছরের কম বয়সী পাঁচজনকে দুই বছর ও বাকি শিশুদের দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তাদের শিশু প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি দেশটির দক্ষিণ আয়াওয়াতি অঞ্চলের বোগালে শহরের একটি আদালত তাদেরকে দণ্ড দেয়।
আদালত জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই একটি মোটর চালিত বোট থেকে তাদের আটক করা হয়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা রোহিঙ্গারা। তবে মিয়ানমারের কোনো সরকারই নাগরিক হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দেয়নি। এতে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ও মৌলিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা দুর্বিষহ জীবন থেকে বাঁচতে ছোট নৌকায় ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে। কয়েকদিন আগে ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে সাগরে ভাসতে থাকা ১৮৫ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সম্প্রতি রোহিঙ্গা নাগরিকদের ইউরোপে অভিবাসনের প্রবণতা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হাই কমিশিনার । এছাড়া ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে প্রায় ছয় গুণ বেশি রোহিঙ্গা বিপজ্জনকভাবে সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তবে মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে রাখা হয়েছে, যেখানে তাদের গতিবিধি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এআরএস