জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ১০:২৫ এএম
ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সোলেডার শহরের অধিকাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। পূর্ব ইউক্রেনে দোনবাস অঞ্চলে তীব্র যুদ্ধের পর এ অঞ্চল দখলে নিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এক মাস ধরেই এ শহরটির নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই চলছিল। তবে গত চার দিনে রুশ বাহিনী ও তাদের সমর্থক ওয়াগনার গোষ্ঠীর যোদ্ধারা নতুন নতুন জায়গা দখল করেছে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ‘সম্ভবত’ শহরটির অধিকাংশ এলাকাই রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।
লবণের খনিসমৃদ্ধ প্রায় ১০ হাজার লোকের শহর সোলেডারের অবস্থান বাখমুট শহরের কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং এটির দখল রুশ বাহিনীর হাতে চলে গেলে বাখমুটের নিয়ন্ত্রণ দখলের যুদ্ধে তারা সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাবে।
তা ছাড়া সম্প্রতি রুশ বাহিনী বেশ কয়েকটি লড়াইয়ে বিপাকে পড়ার পর সোলেডারের এ বিজয় হবে তাদের জন্য একটি ভালো খবর।
সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক কর্মকর্তাও বলেছেন যে সোলেডার শহরের এক বড় অংশই এখন রুশদের দখলে।
বাখমুটেও তীব্র যুদ্ধ চলছে এবং রুশ ও ইউক্রেনীয় উভয় বাহিনীরই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বলা হচ্ছে ১১ মাস আগে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর অন্যতম তীব্র ‘পরিখা যুদ্ধ’ হচ্ছে এখানে।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ে বলা হচ্ছে— সোলেডার দখলের মধ্য দিয়ে রাশিয়া সম্ভবত উত্তর দিক থেকে বাখমুটকে ঘিরে ফেলা এবং ইউক্রেনীয় যোগাযোগের পথগুলো বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।
সোলেডারে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকা সাংবাদিক ইউরি বুটুসভ জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী সোলেডার শহরে ইউক্রেনের রসদপত্র সরবরাহের পথটির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এ পথ দিয়ে স্বাভাবিক চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে, যা প্রতিরক্ষার জন্য জরুরি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ব্যাপক ধ্বংসলীলা সত্ত্বেও বাখমুট ও সোলেডারে ইউক্রেন দখল ধরে রেখেছে।
তিনি বলেন, সোলেডারে এখন প্রায় কোনো জীবিত প্রাণী নেই এবং একটি দেয়ালও দাঁড়িয়ে নেই । রুশ সেনাদের মৃতদেহ দিয়ে সোলেডারের মাটি ঢাকা পড়ে গেছে। সূত্র: বিবিসি ও আলজাজিরা
এবি