জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৯:৩৩ এএম
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, সুইডেনের আশা করা উচিত নয় যে, ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে তুরস্ক তাকে সমর্থন দেবে। সম্প্রতি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ ও পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) মন্ত্রীসভার বৈঠকে এরদোগান বলেছেন, ‘ন্যাটোর জন্য সুইডেন যেন আমাদের সমর্থন প্রত্যাশা না করে।’
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করে। কিন্তু স্টোকহোমের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ সামরিক জোটটিতে সুইডেনের সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
তুরস্ক যেহেতু আগে থেকেই ন্যাটোর সদস্য, সেহেতু এটি অন্য দেশকে এ সামরিক জোটে যোগদানে বাধা দিতে পারে। এরই মধ্যে দেশটি সুইডেনের কাছে বেশ কিছু দাবি পেশ করেছে, যার মধ্যে কিছু কুর্দিদের প্রত্যর্পণের বিষয়ও রয়েছে।
এরদোগান বলেন, যারা আমাদের দেশের দূতাবাসের সামনে এ ধরনের হীন কাজ করতে পারে, তারা আমাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা সন্ত্রাসীদের আমাদের দূতাবাসের সামনে যা খুশি তা করতে দেবেন। এরপর ন্যাটোতে আমাদের সমর্থন প্রত্যাশা করবেন। তা হবে না।’
বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ার সুইডিশ সরকারের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য দাবি করে এরদোয়ান বলেন, কোনো ধর্মকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। আর আমরা সবসময় সততার সঙ্গে কথা বলি। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, যখন কেউ আমাদের অসম্মান করবে, তখন আমরাও তাদের জন্য উপযুক্ত জায়গা করে রাখবো।
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোবিয়াস বিলসস্ট্রোম বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তবে আমরা ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু শনিবার যে ঘটনা ঘটেছে, সেটিকে সুইডেন সরকার ও আমি কোনোভাবেই সমর্থন করি না।
বিলসস্টোম আরও বলেন, সোমবার এরদোয়ানের মন্তব্যের জবাব দিতে তিনি আসলে কী বলেছেন তা সঠিকভাবে বোঝার চেষ্টা করি। ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও তুরস্কের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে, সেটিকে আমরা অবশ্যই সম্মান করবো।
টিএইচ