Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেবো: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, ১১:১৩ এএম


২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেবো: ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মাত্র ২৪ ঘণ্টায় থামিয়ে দিতে পারবেন তিনি।

তিনি যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে থাকতেন তাহলে একদিনের মধ্যেই এই যুদ্ধ বন্ধ করে দিতেন। তার দাবি, তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথা বলেন।

বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে কড়া বার্তা দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করুন।

সম্প্রতি ফেসবুক ও টুইটারে নিজের প্রোফাইল ফিরে পেয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একাধিক টুইট করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বাইডেনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একবার যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকে ট্যাংক দিচ্ছে আমেরিকা, এরপর তো দরকার পড়লে পরমাণু অস্ত্রও দেবে। সময় নষ্ট না করে এই বিধ্বংসী যুদ্ধ থামান। খুব সহজেই এই যুদ্ধ বন্ধ করা যেতে পারে।’

রাশিয়ার পক্ষ থেকেও একাধিকবার এই দাবি করা হয়েছিল। ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য করে আসলে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী করছে আমেরিকা, এই দাবি করেছে পুতিনের দেশ।

শুক্রবার আরেকটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। সরাসরি দাবি করেন, তিনি সুযোগ পেলে একদিনের মধ্যেই এই যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন। ট্রাম্পের দাবি, ‘আমি যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতাম, তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেনের বিধ্বংসী যুদ্ধ শুরুই হতো না। এখনও যদি আমাকে প্রেসিডেন্ট পদে বসান হয়, তাহলে মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের সহমতে এই যুদ্ধ বন্ধ করে দেব। যেভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ তা মেনে নেওয়া যায় না।’ এই টুইটের পরে ট্রাম্প ভক্তরাও দাবি তোলেন, একমাত্র ট্রাম্পই এই যুদ্ধ থামাতে পারেন।

প্রসঙ্গত, ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার পর ফেসবুকে অন্তত দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বিপুল লোকসানের মুখে পড়ে তার ব্লক হওয়া অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে মেটা। তাদের দাবি, রাজনীতিবিদরা কী বলছেন তা জানতে চায় আমজনতা। তাই ট্রাম্পের ব্লক হওয়া অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিচ্ছে মেটা। একই সময়ে টুইটার ও ফেসবুকে নিজের প্রোফাইল ফিরে পান ট্রাম্প। তারপর থেকেই বর্তমান মার্কিন সরকারের লাগাতার সমালোচনা করছেন ট্রাম্প।

আরএস

Link copied!