জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
পশ্চিম তীরে একটি অবৈধ ইসরায়েলি বসতির কাছে ইসরায়েলিদের গুলিতে ফিলিস্তিনি কিশোর ১৮ বছর বয়সী কারাম আলী আহমেদ সালমান নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এ সপ্তাহের শুরুতে জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে নয়জনকে হত্যার পরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটলো। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার
রোববার (২৯ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, কেদুমিমের বসতির কাছে ইসরায়েলি দখলদারদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৮ বছর বয়সী কারাম আলী আহমেদ সালমান। চলতি বছর পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। কেদুমিম ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ফিলিস্তিনি জমিতে নির্মিত হয়েছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, সালমান হ্যান্ডগানে সজ্জিত ছিল এবং একটি বেসামরিক নিরাপত্তা দল তাকে গুলি করেছে।
আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করেছে এবং বসতি স্থাপনাগুলোকে আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে গণ্য করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও জানায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জেনিনে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী নয়জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। এরপর বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনার পর এই গুলি চালানো হয়। একই দিনে জেরুজালেমের উত্তরে আল-রাম শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তি নিহত হয়। যা অধিকৃত পশ্চিম তীরের সবচেয়ে মারাত্মক দিনগুলির একটি ছিল।
জাতিসংঘ বলেছে, ২০০৫ সাল থেকে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জন্য ২০২২ ছিল সবচেয়ে মারাত্মক বছর। যেখানে ৩০টিরও বেশি শিশুসহ কমপক্ষে ১৭০ জন নিহত হয়েছে এবং ৯ হাজার আহত হয়েছে।
টিএইচ