আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্চ ২০, ২০২৩, ১০:৪৫ এএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্চ ২০, ২০২৩, ১০:৪৫ এএম
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলার প্রস্তুতি নিতে তার বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জন উন। পিয়ংইয়ংকে মোকাবিলায় ওয়াশিংটন ও সিউলের ধারাবাহিক যৌথ সামরিক মহড়ার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। দুই দেশ সামরিক মহড়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সোমবার (২০ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ।
গত শনি ও রবিবার ‘যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং পাল্টা পারমাণবিক আক্রমণের সক্ষমতা’ জোরদারে মহড়া চালায় উ. কোরিয়ার সশস্ত্রবাহিনী। এর একদিন পরই কিম জং উনের পক্ষ থেকে এমন কড়া নির্দেশনা এলো। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন সতর্কবার্তা পাঠাতেই একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসছে পিয়ংইয়ং।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কৌশলগত পারমাণবিক হামলার মহড়ায় ৮০০ মিটার উচ্চতার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপেক্ষণ করে। নিজে উপস্থিত থেকে মহড়া তদারকি করেন কিম।
তিনি বলেন, এই মহড়া তার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছে। তাৎক্ষণিক এবং অপ্রতিরোধ্য পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা আছে।
দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিমের বরাতে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে ডিপিআরকে-এর বিরুদ্ধে আগ্রাসনের পদক্ষেপ আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। ফলে জরুরিভিত্তিতে ডিপিআরকে-কে নিজেদের প্রস্তুতি জোরদার করতে হবে।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পারমাণবিক বাহিনী তার উচ্চ যুদ্ধ প্রস্তুতির মাধ্যমে শত্রুর বেপরোয়া পদক্ষেপ এবং উস্কানিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করবে এবং নিয়ন্ত্রণ করবে। এ ছাড়া যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে দ্বিধা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ মিশন পরিচালনা করবে।
কেসিএনএনের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, কিম তার ছোট মেয়েকে নিয়েই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন। এর আগে এমন দৃশ্য দেখা যায়। সূত্র: রয়টার্স
আরএস