সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩, ১২:২৩ পিএম
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনবিরোধী বিক্ষোভে মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘবিরোধী হিংসাত্মক এই বিক্ষোভে দেশটির সেনাবাহিনী কঠোরভাবে দমন করা শুরু করলে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এছাড়া ক্র্যাকডাউনে আরও ৫৬ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আফ্রিকার এই দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায় সহিংস বিক্ষোভ ও এর জেরে সেনাবাহিনীর শক্তিপ্রয়োগে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার পূর্ব কঙ্গোলিজ শহর গোমায় জাতিসংঘ বিরোধী হিংসাত্মক বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর কঠোর দমনপীড়নে ৪৩ জন নিহত এবং আরও ৫৬ জন আহত হয়। বিক্ষোভের সময় একজন পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরে কঙ্গোলিজ সৈন্যরা ক্র্যাকডাউন শুরু করে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ও অন্যান্য বিদেশি সংস্থার বিরুদ্ধে আয়োজিত এই বিক্ষোভ জোরপূর্বক ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনটি মনুস্কো নামে পরিচিত। জাতিসংঘের এই মিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মূলত বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এই সহিংসতার কারণে বুধবার দেশটির ওই শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
কঙ্গোর কর্তৃপক্ষ বলেছিল, এক পুলিশ সদস্যকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ছয় বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দেশটির সরকার বলেছে, বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ জনে। এছাড়া আরও ১৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় সামরিক তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কঙ্গোর সৈন্যরা একটি লরিতে বহু মৃতদেহ স্তূপাকার করে রাখছে এবং গাড়িতে করে সেগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অবশ্য এই ফুটেজটিও যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এআরএস