সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩, ০৮:৩১ পিএম
শক্তিশালী ভূমিকম্পে মরক্কোতে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পে বহু আবাসিক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দেশটিতে গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি। খবর রয়টার্সের
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) গভীর রাতে মরক্কোর হাই এটলাস পর্বতমালায় ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে ভূকিম্পে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৭২ জন এবং এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
স্থানীয় সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে সেখানেই মৃত্যের সংখ্যা বেশি। কারণ পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় ওই এলাকায় পৌঁছকে অনেক দেরি হয়েছে।
ভূমিকম্প উৎপত্তি স্থলের কাছের বড় শহর মারাক্কিস। এ শহরে বাসিন্দারা রাতে বাসায় না ফিরে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন।
প্রথম ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন (পরাঘাত) হয়। রিখটার স্কেলে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল উচ্চ অ্যাটলাস পর্বতমালা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত ভবনগুলো থেকে ধুলো উড়ছে। প্রাণভয়ে বাড়িঘর থেকে বের আসা লোকজন রাস্তায় ছোটাছুটি করছে।
মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে মরক্কোতে ১৯৬০ সালে ভয়াবহ এক ভূমিকম্প আঘাত হানে সে সময় প্রায় ১২ হাজার মানুষ মারা যায়।
এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানলে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
গত বছর মরক্কোর সঙ্গে আলজেরিয়া সম্পর্ক ছিন্ন করলেও, ভয়াবহ ভূমিকম্পে তারা দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে। মরক্কোর জন্য তারা আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
আরএস