সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ০৯:০৬ এএম
কানাডার নাগরিক ও দেশটিতে বসবাসকারী শিখ ধর্মাবলম্বীদের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভারতকে অভিযুক্ত করার প্রসঙ্গে কানাডার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
তিনি বলেছেন, ভারতকে উসকানি দেওয়ার কোনো অভিপ্রায় তার সরকারের নেই। তিনি কেবল চাইছেন, ভারত হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করুক এবং কানাডাকে সহায়তা করুক।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ট্রুডো বলেন, ‘আমরা চাই ভারতের সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই ব্যাপারটি বিবেচনা করুক। আমরা (হরদীপ সিং হত্যাকান্ডের ব্যাপারটিকে) গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা কেবল উত্তর চাই কাউকে উসকানি কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই।’
কানাডার বসবাসকারী শিখ ধর্মাবলম্বীদের একজন নেতা ছিলেন হরদীপ সিং নিজ্জর। ১৯৭৭ সালে তিনি ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলা থেকে কানাডা গিয়েছিলেন, পরে সেখানাকার নাগরিকত্বও অর্জন করেন।
এদিকে ভারতের একজন তালিকাভুক্ত ‘ফেরার’ সন্ত্রাসীও ছিলেন হরদীপ। ভারতের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন খালিস্তানি টাইগার ফোর্স এবং ‘শিখস ফর জাস্টিস’ কানাডা শাখার নেতা ছিলেন তিনি। দু’টি সংগঠনই ভারতে নিষিদ্ধ। হরদীপকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করাতে আগ্রহী ছিল ভারত।
গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের ভ্যানকুভার শহরের একটি গুরুদুয়ারার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়) কাছে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন হরদীপ। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সম্প্রতি ভারতকে সরাসরি দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন।
কানাডার জন্য এই ঘটনাটি যে তীব্র অবমাননাকর, তা বোঝাতে গিয়ে পার্লামেন্ট ভাষণে ট্রুডো বলেন, ‘কানাডার মাটিতে একজন কানাডীয় নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের জড়িত থাকার বিষয়টি আমাদের সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন।’
এদিকে, ট্রুডোর এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ভারত। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘কানডা সরকারের এই অভিযোগ অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভারত বরারবরই আইনের শাসনে প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।’
এইচআর