অক্টোবর ১৫, ২০২৩, ১১:৩১ এএম
ইসরাইল গাজা সিটি দখল করতে এবং হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করতে উপত্যকাটিতে ১০ হাজার সৈন্য পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক খবরে ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, গাজা সিটি দখল এবং উপত্যাকার নেতৃত্বকে `ধ্বংস` করতে ইসরাইল ১০ হাজার সৈন্য পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
এত বলা হয়, এই অভিযানটি ২০০৬ সালে দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের পর বৃহত্তম হবে। এত ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স গাজার অংশবিশেষ দখল করার চেষ্টা করবে। অন্তত সাময়িক সময়ের জন্য হলেও তারা এলাকাটির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে।
তবে হামাসও এর জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। হামাসের এক কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানান, তাদের যোদ্ধারা ইসরাইলি সৈন্যদের জন্য ফাঁদ পেতে থাকবে। ইসরাইলি সৈন্যরা এগিয়ে এলে যে অবস্থার মুখে পড়বে, তাতে তারা বিস্মিত হয়ে যাবে।
অবশ্য ইসরাইলি কর্মকর্তারা মনে করেন, এই মোকাবেলা সহজ হবে। সৈন্যরা খুব সহজেই সন্দেহভাজনদের গুলি করতে সক্ষম হবে।
আইডিএফের মুখপাত্র লে. কর্নেল রিচার্ড হেচট বলেন, সৈন্যরা বিশেষ করে হামাস নেতা ইয়াহিা সিনওয়ার দিকে নজর রাখবে।
তিনি বলেন, `এই লোকটি আমাদের দৃষ্টির মধ্যে রয়েছে। সে হাঁটতে থাকা মৃত লো, আমরা ওই লোককে ধরব।`
সিনওয়ারের প্রতি বিদ্বেষের বিষয়টি ইসরাইলের আরেক কর্মকর্তাও জানিয়েছেন। আইডিএফের লে. কর্নেল পিটার লাননার এনবিসি নিউজকে সিনওয়ারকে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সাথে তুলনা করেন। তিনি বলেন, `তারা যখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে পূর্ণ যুদ্ধে নেমেছে, তখনই তারা নিজেদের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছে।`
তিনি বলেন, তারা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে পেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। তিনিই হলেন চলমান হামলার মাস্টারমাইন্ড।
উল্লেখ্য, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ২০১৭ সালে গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রধান নির্বাচিত হন। তিনি ইসমাইল হানিয়ার কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এদিকে ইসরাইলি হুমকি উপেক্ষা করে হামাস গাজার বাসিন্দাদের নিজেদের বাড়ি থেকে সরে যেতে নিষেধ করেছে।
এক বিবৃতিতে হামাস অথরিটি ফর রিফিউজি অ্যাফেয়ার্স উত্তরের বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেছে, ‘আপনাদের নিজেদের ঘরেই অবিচল থাকুন এবং এই জঘন্য মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের দৃঢ় মোকাবেলা করুন।’
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জাতিসঙ্ঘকে জানিয়েছে, ওয়াদি গাজার উত্তরে বসবাসকারী প্রত্যেককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তরিত করতে হবে।
পুরো গাজা উপত্যকার অর্ধেক মানুষেরই বসবাস এই অঞ্চলে। বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দক্ষিণে চলে যেতে হবে গাজা শহরের সব নাগরিককে। ইসরায়েলের এই সতর্কবার্তাটি মধ্যরাতের ঠিক আগে (গাজা ও জেরুজালেম সময়) দেওয়া হয়। সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, টাইমস নাও, এএফপি, বিবিসি
এইচআর