নভেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৯:২৬ পিএম
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) এ বিমান হামলা চালানো হয়।
দক্ষিণ গাজা থেকে বেসামরিকদের সরে যেতে বলার পরই ইসরায়েল এ হামলা চালায়। দক্ষিণের সর্ববৃহৎ শহর খান ইউনিস, যেখানে উত্তর থেকে পালিয়ে আসা সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল তাদেরসহ শহরটির চার লাখের বেশি বাসিন্দাকেও এখন বাড়িঘর ছাড়তে হচ্ছে। শহরটিতে চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের হামলার ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি গাজা সিটিসহ গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে পালিয়ে গিয়েছিল তাদের এখন আবার উত্তরে ফিরে আসতে হবে।
গাজার সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার প্রতিজ্ঞা করে গাজায় এক মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাস প্রথমে ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেটে ছোড়ে। তারপর এক হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে ১৪শ’র বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যায় ২৫০ জনকে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র চারজন জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন। বাকিদের ভাগ্যে কি হয়েছে তা এখনো অজানা। যদিও হামাস বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় বেশ কয়েকজন জিম্মিও মারা গেছেন।
৭ অক্টোবর থেকেই গাজার উপর বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিশেষ করে বিমান হামলা চালিয়ে গাজা সিটি মাটির সঙ্গে গুড়িয়ে দিতে চায় তারা।
শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলায় সেখানে ১২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। যাদের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি শিশু।
আরএস