নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৮:৩১ পিএম
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ছয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের গণমাধ্যমবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা এমএডিএ, ফিলিস্তিনি প্রেস সিন্ডিকেট এই তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি ওই দুই সংস্থার তথ্য ও হামলার ভিডিও পর্যালোচনা করে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাও গাজায় ছয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীর প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের হামলায় নিহত সাংবাদিকরা হলেন, সাংবাদিক মুস্তফা আল-সাওয়াফ, আলোকচিত্রী মুসাব আশৌর, আল-আকসা টেলিভিশনের প্রকৌশলী আমর আবু হায়া, আল-আকসা টেলিভিশনের প্রশাসক আব্দু আলহালিম আওয়াদ।
এর আগে, রোববার সকালের দিকে আলজাজিরার প্রতিবেদনে গাজা উপত্যকার বুরেইজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় দুই সাংবাদিকের প্রাণহানির তথ্য জানানো হয়। নিহত দুই সাংবাদিকই কুদস নিউজে কর্মরত ছিলেন। তারা হলেন সাংবাদিক সারি মনসুর ও হাসুনেহ সেলিম।
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) শনিবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত (১৮ নভেম্বর) ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। নিহত সাংবাদিকদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি। এছাড়া ইসরায়েল ও লেবাননিজ সাংবাদিকও চলমান এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন।
১৯৯২ সাল থেকে সংঘাতে দায়িত্বপালনের সময় হতাহত সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক এই সংগঠন। তারা বলেছে, সংঘাতে হতাহত সাংবাদিকদের পরিসংখ্যান প্রকাশের সময় থেকে এখন পর্যন্ত যেকোনো সংঘাতের প্রথম এক মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক সাংবাদিকের প্রাণহানির রেকর্ড হয়েছে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পর থেকে হাসপাতাল, বাসস্থান এবং উপাসনালয়সহ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থাপনায় টানা বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।
আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলিদের প্রাণহানি এক হাজার ২০০ জনে পৌঁছেছে বলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে। যদিও প্রথমে হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিল ইসরায়েল। সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল।
এইচআর