আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন ৪০ বছর আগে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ হয়নি তাই আদালতে মামলা করেন। মামলার ৪দশক পর বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরির চিঠি পান পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দীনবন্ধু ভট্টাচার্যসহ ৬৬ জন। এর মধ্য ৪ জন ইতিমধ্য মারা গেছেন।
দীনবন্ধু ভট্টাচার্যের বয়স এখন ৬৪।
দীনবন্ধু বিবিসি বাংলাকে বলেন, `প্রাথমিক শিক্ষকের জন্য যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম তখন আমি যুবক। সদ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক। চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে করতে এখন আমার বয়স ৬৪। গতকাল হাতে অ্যাপয়েন্টমেন্টের চিঠি পেয়েছি। আমি একা নয়, আমার মতো ৬৬জন এই চিঠি পেয়েছে। এর মধ্যে ৪জন তো বেঁচেই নেই।`
চিঠি হাতে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন, পান্ডুয়ার চক্র বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে। তার মতো আরও একাধিক ব্যক্তিই ছুটে যান সেখানে, চিঠির ‘মর্মার্থ বুঝতে’।
বর্তমানে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। গত কয়েক বছরে শিক্ষক নিয়োগ, পুরসভায় নিয়োগ, রেশন-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে খবরের শিরোনামে রয়েছে এই রাজ্য।
নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন নবম-দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা৷ অভিযোগ, ২০১৬ সালে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়৷
কিন্তু প্যানেলের তালিকাভুক্ত হয়েও এই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ হয়নি। তাদের আন্দোলনের সময় পেরিয়েছে এক হাজার দিনেরও বেশি সময়।
চাকরির পরীক্ষা পাশ করেও চাকরি না পাওয়ায় দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের। এরপর একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। চাকরি কিন্তু এখনও মেলেনি তাদের, কখনও মিছিল করেছেন, কখনওবা প্রতিবাদে মাথা মুড়িয়েছেন।
এদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিককেও।
এরই মধ্যে হুগলি জেলা পরিষদের এই শিক্ষক নিয়োগের চিঠিকে ঘিরে আরও একবার তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
সূত্র: বিবিসি
আরএস