ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
মধ্যপ্রাচ্যের আলোচিত দেশ ইয়েমেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারক। নতুন দায়িত্বে আসার আগে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
হুথি বিদ্রোহীদের দ্বারা লোহিত সাগরে হামলার পর আরব উপদ্বীপের দরিদ্রতম দেশটিতে উত্তেজনা বাড়ার সময়ে বিন মুবারক মাইন আবদুল মালিক সাইদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। ইয়েমেনের মন্ত্রিসভা সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক্সের (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে । খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি গত ৯ বছর ধরে সৌদি আরবে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। হুতি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে টিকতে না পেরে ২০১৫ সালে সৌদিতে পালিয়ে যান আল হাদি।
তাঁর অনুপস্থিতিতে মিয়ানমারের নির্বাহী শাসন পরিচালনা করছে প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিল নামের উচ্চপর্যায়ের একটি পর্ষদ। সেই পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আওয়াদকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মাঈন আবদুলমালিক এখন থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ইয়েমেনের সরকারি বাহিনীর সাথে ২০১৫ সালে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত যুদ্ধে কোনো পক্ষই চূড়ান্ত জয় কিংবা পরাজয় পায়নি। বর্তমানে ৫ লাখ ৩০ হাজার আয়তনের এই দেশটির অর্ধেক ইয়েমেনের সরকারের দখলে রয়েছে, বাকি অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করছে হুতি বিদ্রোহীরা।
এই যুদ্ধের শুরুর দিকে হুতি যোদ্ধারা আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারককে অপহরণ করেছিল। পরে তাকে সরকারি বাহিনী উদ্ধার করে ;ওই ঘটনার পর থেকে ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়তে থাকে আহমেদ আওয়াদের।
কিন্তু তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়া হুথি এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের মধ্যে উত্তেজনাকে আরও তীব্র সংঘাতে পরিনত করতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
/বিআরইউ