ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ১২:৪১ পিএম
মধ্যপ্রাচ্যের আলোচিত দেশ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধের তৃতীয় ধাপে ১৩৫ দিনের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাসের অধীনে থাকা সব ইসরায়েলি জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়া হবে। বিনিময়ে অবরুদ্ধ গাজা থেকে ইসরায়েলকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিতে হবে এবং বন্দি ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের মুক্তির দাবী উঠে।
এ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে গত সপ্তাহে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটির জবাবেই এসব শর্ত দিয়েছে হামাস। গত পাঁচ মাসের মধ্যে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর সংঘাত বন্ধে এটিই সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেন।
এদিকে হামাসের যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবের জবাবে ‘উদ্ভব’বলে উল্লেখ করেছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, একটি সম্পূর্ণ এবং চূড়ান্ত বিজয় ছাড়া অন্য কোনো সমাধান নেই। হামাস যদি গাজায় টিকে থাকে তবে পরবর্তীতে আবারও তারা হুমকি হয়ে উঠবে।
অন্যদিকে স্বাধীনতাকামী হামাসের শীর্ষ নেতা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেছেন, নেতানিয়াহুর মন্তব্য রাজনৈতিক বাহাদুরির একটি রূপ। এর থেকে বোঝা যায় যে, তিনি ওই অঞ্চলে সংঘাত চালিয়ে যেতে চান।
এছাড়া হামাসের দেওয়া প্রস্তাবের একটি নথি হাতে পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নথিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ৪৫ দিনে হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলি নারী, ১৯ বছরের কম বয়সী পুরুষ এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি নারী ও শিশুদের মুক্তি দিতে হবে। এই ধাপে, গাজার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সৈন্যদের ফিরিয়ে নেবে ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, সমঝোতাকারীদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের প্রস্তাবের শুরুতেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টির কথা বলা হয়নি। তবে সবশেষ বলা হয়েছে অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হতে হবে আগে তারপরই জিম্মিদের মুক্তির ব্যপারটি নিশ্চত হয়।
বিআরইউ