ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
রমজানের প্রথম দিনেই রাফাতে স্থল অভিযান চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েল।
টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী ১০ মার্চের মধ্যে গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়া হলে রাফাতে স্থল অভিযান চালানো হবে।
আবার আগামী ১০ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস।
রোববার জেরুজালেমে আমেরিকান ইহুদি সংস্থার সভাপতিদের সম্মেলনে গ্যান্টজ বলেন, বিশ্ব এবং হামাস নেতাদের অবশ্যই জানা উচিত- যদি রমজানের আগে আমাদের জিম্মিরা বাড়িতে না আসে তবে রাফা অঞ্চলের সর্বত্র লড়াই শুরু হবে। আমি এটা খুব স্পষ্টভাবে বলি: হামাসের কাছে একটি বিকল্প আছে- তারা আত্মসমর্পণ করতে পারে এবং জিম্মিদের মুক্তি দিতে পারে, যা গাজার নাগরিকদের রমজানের পবিত্র ছুটি উদ্যাপন করতে সাহায্য করবে।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহ বিশ্ব নেতারা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছেন, রাফাতে বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তা ও সমর্থন নিশ্চিত করার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য এবং কার্যকরী পরিকল্পনা ছাড়া স্থল অভিযান করা উচিত নয়।
তবে আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রাফাতে হামাসের বন্দুকধারীদের নির্মূল করতে স্থল হামলা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নেতানিয়াহু বলেন, যারা আমাদের রাফাতে কাজ করা থেকে বাধা দিতে চায় তারা মূলত আমাদের বলছে: ‘যুদ্ধে হেরে যাও’।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল যখন গাজার বাকি অংশে আক্রমণ চালাচ্ছিল বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা তখন মিশরের সাথে গাজার সীমান্তে অবস্থিত রাফাতে আশ্রয় নিয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী বেসামরিকদের জন্য এটিকে একটি নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা করেছিল। তবে জানুয়ারির শেষ দিকে রাফাতে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিসিআরএস) জানিয়েছে, বর্তমানে রাফাতে গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক বেশি- প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি অবস্থান করছে।
বিবিসির এক সংবাদে বলা হয়, রমজান শুরু হতে ঠিক তিন সপ্তাহ বাকি আছে, ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি হামলার ভয়ে রাফাহ থেকে কিছু মানুষ পশ্চিমে উপকূলের দিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগই এখনও অপেক্ষা করছে, কী করা উচিত তা নিশ্চিত নয়। মিশর এবং অন্যান্য কিছু আরব দেশ বারবার সতর্ক করেছে, রাফাতে ইসরায়েলি আক্রমণ অনেক ফিলিস্তিনিকে মিশরে ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে। এছাড়াও রাফাতে হামলা হলে সৌদি আরব খুব গুরুতর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
বিআরইউ