Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪,

ইসরায়েলের হুঁশিয়ারির জবাবে যে তিন শর্ত দিলো হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম


ইসরায়েলের হুঁশিয়ারির জবাবে যে তিন শর্ত দিলো হামাস
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি রমজানের প্রথম দিনেই ইসরায়েলের স্থল অভিযান চালানোর হুঁশিয়ারির জবাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস তিনটি শর্ত জুড়ে দিল।

১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার আল জাজিরার সাথে একটি সাক্ষাৎকারে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য খলিল আল-হাইয়া জানিয়েছেন, ‘ইসরায়েলি জিম্মিদের প্রত্যাবর্তনের জন্য আমাদের তিনটি শর্ত রয়েছে। এক- আমাদের জনগণের জন্য ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা। দুই- গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের অবসান এবং পূর্ণ যুদ্ধবিরতি। তিন- একটি বাস্তব বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা আমাদের ১০ হাজার বন্দিকে মুক্তি দেবে।’

ফিলিস্তিনি একটি  সূত্র অনুসারে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য একটি তিন-পর্যায়ের পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে হামাস। যার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ১৩৫ দিনের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, কাতার এবং মিশরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের গত মাসে প্যারিস বৈঠকে চুক্তিটির মূল কাঠামো তৈরি হয়েছিল।

তবে গত শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে হামাসের প্রস্তাবকে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ বলে বর্ণনা করেছেন।

এদিকে আল-হাইয়ার অভিযোগ, ‘নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে প্যারিসে যে বিষয়ে সম্মত হয়েছিলেন তা থেকে পিছিয়ে গেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। 

পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। চার মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ২৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি নারীও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬৯ হাজারের বেশি।

বিআরইউ

Link copied!