ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪, ১০:০৩ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের মেট্রো ওয়াশিংটন ডিসি এলাকার ভার্জিনিয়ায় অনুষ্ঠাতব্য ৩৮তম ফেডারেশন অফ বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন অফ নর্থ আমেরিকা (ফোবানা) সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশিদের কাছে দেশের সার্বিক উন্নয়নসহ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফোবানা সম্মেলনের নির্বাহী কমিটির একটি প্রতিনিধিদল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনের নেতারা আমন্ত্রণপত্র ও ফোবানা ক্রেস্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
ফোবানা সম্মেলনের নির্বাহী কমিটির এ প্রতিনিধিদলটিকে নেতৃত্ব দেন সম্মেলনের বর্তমান চেয়ারপার্সন অ্যাটর্নি মোহাম্মদ আলমগীর। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ শেষে সম্মেলনের চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ আলমগীর ফোনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
ভার্জিনিয়ায় অনুষ্ঠাতব্য ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনের সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত ৩৭ বছরে ফোবানা সম্মেলনের মাধ্যমে তরুণদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক, বৈজ্ঞানিক ও দাতব্য কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করে আসছে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।
ফোবানা প্রতি বছর বর্ণিল ইভেন্ট, সেমিনার এবং কর্মশালার আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রচারের জন্য উত্তর আমেরিকায় একটি কনভেনশনের আয়োজন করে থাকেন। এর পাশাপাশি মার্কিনিদের কাছে দেশের সার্বিক উন্নয়নসহ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য ফোবানা সম্মেলনের নেতাদের কাছে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রায় ৪৫ মিনিটের এ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বিগত ১৫ বছরে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি। আমরা ইতোমধ্যে দেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ রূপান্তরিত করেছি এবং উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সমস্ত মানদণ্ড পূরণ করেছি। বাংলাদেশ এখন একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে আবির্ভূত হয়ে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের সকল উন্নয়নের সাফল্য নতুন প্রজন্মসহ বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আলোচনাকালে যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য বা ফোবানা সম্মেলনের বিভক্তির প্রসঙ্গ উঠে আসে। এসময় ফোবানা সম্মেলনে গ্রুপিং বা বিভক্তির বিষয় ব্যাখ্যা করে এটাই যে মূল ফোবানা সম্মেলন সেটা প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেন উপস্থিত ফোবানার নেতারা।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মূল ফোবানা সম্মেলনের নেতৃত্ব প্রদানকারীদের মাধ্যমে আগামী দিনেও উত্তর আমেরিকায় শান্তি, সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সুযোগের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ড করে রাখবে।
ফোবানার বর্তমান চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ রব চৌধুরী, সাবেক চেয়ারপার্সন ও উপদেষ্টা ডিউক খান ও আজাদুল হক, সাবেক চেয়ারপার্সন রেহান রেজা, উপদেষ্টা গোলাম ফারুক ভুঁইয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছর গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসিতে লেবার ডে’র সপ্তাহান্তে ৩০-৩১ আগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনের ক্রিস্টাল গেটওয়ে ম্যারিয়ট হোটেলের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ৩৮তম ফোবানা সম্মেলন। এবারের সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে সাক্ষাৎ ও অভিবাদন (মিট অ্যান্ড গ্রিট) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফোবানা সম্মেলনের প্রতিনিধিদলটি এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
বিআরইউ