Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪,

ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম


ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিবাদে তিনি এই ঘোষণা দেন।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর মোহাম্মদ শাতায়েহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,

আমি প্রেসিডেন্টের (মাহমুদ আব্বাস) কাছে সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেছেন,

মূলত পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে নজিরবিহীন উত্তেজনা ও গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও অনাহারের আলোকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শাতায়েহ আরও বলেন,

আমি পরবর্তী পর্যায় দেখতে পাচ্ছি, যেখানে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য নতুন সরকারি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রয়োজন যা গাজায় উদ্ভূত নতুন বাস্তবতাকে আমলে নেবে ও ফিলিস্তিনি ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তুলবে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।

মূলত গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে রদবদল করতে মাহমুদ আব্বাসকে চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ শুধু অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ শাসন করলেও যুদ্ধ শেষে গাজার শাসন ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে চায় ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রস্তাব বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার নাকচ করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দেশি-বিদেশি চাপের মুখে গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধ পরবর্তী গাজা নিয়ে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করলেও সেখানে এমন কোনো কিছুর কথা উল্লেখ করেননি নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা অনুযায়ী, অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরায়েল। হামাসের পরিবর্তে ইসরায়েলবিদ্বেষী নয় এমন কোনো গোষ্ঠী গাজার শাসনভার পরিচালনা করবে।

এ ছাড়া গাজাকে একটি বেসামরিক অঞ্চলে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। ক্ষুদ্র এই উপত্যকার জনশৃঙ্খলা রক্ষার বাইরে সব ধরনের সামরিক সক্ষমতা কেড়ে নেবে ইসরায়েল।

শুধু গাজা নয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী অধিকৃত পশ্চিম তীরের স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণও নিজের হাতে নেবে ইসরায়েলি সেনারা।

আরএস

Link copied!