মার্চ ৯, ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
ভারতের মিজোরাম, মণিপুর, অরুণাচল ও নাগাল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের প্রায় এক হাজার ৬৪৩ কি.মি. সীমান্ত আছে। মিয়ানমারের জনগণ ও ভারতের এই চার রাজ্যের জনগণ নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। অং সান সু চি’র দলকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সামরিক জান্তা। এরপর থেকেই দেশটির বিভিন্ন জায়গায় জোরালো হতে থাকে জান্তাবিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ।
দেশটির চলমান এমন সংঘাতের মধ্যে যেসব নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ভারতের রাজ্য মণিপুর থেকে প্রথম দফায় ফেরত পাঠানো হয়েছে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংঘাতের আঁচ থেকে সীমান্তবর্তী চার রাজ্য থেকে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।
বীরেন সিং বলেন-
মিয়ানমারের যে নাগরিকরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুক্রবার প্রথম দফায় তাদের কয়েকজনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ভারত ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে সই করেনি। কিন্তু তারপরও মানবিক বিবেচনায় দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের বিপদগ্রস্ত নাগরিকদের আশ্রয় ও সহায়তা দিয়েছে ভারত সরকার।
প্রসঙ্গত, দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের সঙ্গে সীমান্তবর্তী প্রদেশে সামরিক সরকারের লড়াই এখন তুঙ্গে। বিদ্রোহীদের হামলায় শান ও রাখাইন প্রদেশে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে সামরিক জান্তা। এমনকি রাখাইনে আরাকান আর্মি যেভাবে শক্তি বাড়িয়ে বিভিন্ন এলাকা দখল করে নিচ্ছে, এতে মিয়ানমার সরকার যথারীতি ব্যাপক বিচলিত হয়ে পড়েছে।
খবর: রয়টার্স
বিআরইউ