Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,

ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ৩০, ২০২৪, ০১:১৬ পিএম


ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ আজ

ইউরোপের দেশ ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ। রোববার (৩০ জুন) প্রথম দফায় সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট দেবেন দেশটির জনগণ।

ফ্রান্সের নির্বাচন কমিশন জানায়, আজ প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে। সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। তবে প্যারিস এবং অন্যান্য বড় শহরগুলোতে ভোটকেন্দ্রগুলো সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে।

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গত ২২ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই হচ্ছে জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটিতে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

কূটনীতি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বিষয়ক সংস্থা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ইউরোপিয়ান পার্সপেক্টিভ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রধান ইমানুয়েল ডুপুই বলেন, এই নির্বাচন ফ্রান্সের শাসন ব্যবস্থায় একটি নতুন পদ্ধতির সূচনা এবং প্রেসিডেন্টের এজেন্ডার সমাপ্তি টানবে। ম্যাক্রোনিজম ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে এবং এই নির্বাচন দিয়ে তা সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে যাবে।

নিজ দেশে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্রদেরও হতবাক করে দেয়। কারণ, আগামী ২০২৭ সালের আগে ফ্রান্সে কোনো নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না। ম্যাক্রোঁর ঘোষণা অনুযায়ী আজ রোববার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত হবে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৭ জুলাই।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ৯ জুন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে মেরিন লে পেনের ডানপন্থি জাতীয় সমাবেশ (আরএন) দলের কাছে শোচনীয় পরাজয় ঘটে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, ডানপন্থী জাতীয় সমাবেশ দল (আরএন) ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়ে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। পরের স্থানে বামপন্থী ব্লক নুভাউ ফ্রন্ট পপুলায়ার (এনএফপি) ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট-এনসেম্বল ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ভোটের ফলাফল যদি জরিপের মতো হয়ে থাকে তাহলে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জন্য তা সুখকর হবে না।

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭টি আসন আছে। প্রতিটি নির্বাচনি জেলার জন্য একটি করে আসন বরাদ্দ। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলের প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন। বিদায়ী সরকারে ম্যাক্রোঁর জোটের আসন ছিল মাত্র ২৫০টি। ফলে আইন পাসের জন্য অন্য দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হতো তাদের।

৫৭৭ আসনের যেকোনো একটিতে নির্বাচিত হতে হলে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমপক্ষে ২৫ শতাংশ হতে হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে প্রদত্ত ভোটের মধ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। ফ্রান্সের মতো একটি বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায়, কোনো প্রার্থীই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে গড়াবে। এক্ষেত্রে আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে৷ প্রথম রাউন্ডে কমপক্ষে সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পাওয়া প্রার্থীরাই কেবল দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নিতে পারবেন। সূত্র: আল জাজিরা।

বিআরইউ

Link copied!