Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪,

মমতার পদত্যাগের একদফা দাবি

পশ্চিমবঙ্গে ‘নবান্ন’ ঘেরাও কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগস্ট ২৭, ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম


পশ্চিমবঙ্গে ‘নবান্ন’ ঘেরাও কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জীর পদত্যাগের এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) সচিবালয় ঘেরার বা ‘নবান্ন অভিযান’ কেন্দ্র করে উত্তপ্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে হাওড়ার সাঁতরাগাছি তথা হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন অঞ্চলে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সামাল দিতে পুলিশকে ব্যবহার করতে হলো জলকামান, কাঁদানে গ্যাস।

মঙ্গলবার বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে নবান্নে পৌঁছান মমতা ব্যানার্জী। আর দুপুর ১টার দিকে কলকাতার কলেজ স্কয়ার থেকে মিছিল শুরু হয়। ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।

দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড ও লাঠি ছুড়ে মারে। একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেললে, প্রথমে জলকামান, পরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তাতেও শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ না হলে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। তারপরও আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলেন।

কলকাতার রাজপথের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আটকাতে ২৫ জন উপ-নগরপালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ৬ হাজার পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনরতদের আটকাতে ড্রোনও ব্যবহার করছে কলকাতা পুলিশ।

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে রাজপথের বিভিন্ন জায়গায় এই বলে মাইকিং করা হচ্ছে যে, যারা আজ মিছিলে আসছেন, তাদেরকে বলা হচ্ছে- শান্তিপূর্ণ ও আইনসিদ্ধ আন্দোলনে আমরা কোনো রকম হস্তক্ষেপ করবো না। তার সঙ্গে এটাও অনুরোধ করছি, আইন মেনে মিছিল করুন।

‘রাজ্য সরকারের সচিবালয় ‘নবান্ন’ সংলগ্ন এলাকায় ৩৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি মানুষ জমায়েত হতে পারবে না। এই বিষয়টিও মাথায় রাখুন। আইন না মানলে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।’

এদিকে শিক্ষার্থীরা বলছেন, আজকের আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ। তারপরও রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলো এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরএস

 

 

Link copied!