Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,

বন্যা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় ৩০ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ১১:২৫ এএম


বন্যা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় ৩০ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধস প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগে ৩০ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছিল। এই বন্যায় প্রায় ৪ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পে টেলিভিশন নেটওয়ার্ক চোসুন জানিয়েছে, কিমের শাসনামলে উত্তর কোরিয়ায় ২০ থেকে ৩০ জন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ আনা হয় এবং রাষ্ট্র তাদের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয় বলে কজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় ২০ থেকে ৩০ জন সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে গত মাসের (আগস্ট) শেষের দিকে।

উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি পূর্বে জানিয়েছিল, জুলাই মাসে চাগাং প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে । এ ছাড়া ১৫ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ঘটনার পর কিম কর্তৃপক্ষকে ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

যে কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে চাগাং প্রদেশের প্রাদেশিক পার্টি কমিটির সেক্রেটারি ক্যাং বং-হুন বন্যার দুর্যোগের সময় একটি জরুরি বৈঠকে কিম কর্তৃক বরখাস্ত করা নেতারা ছিলেন। 
কিমের সঙ্গে বৈঠকের পরে উত্তর কোরিয়ার সাবেক কূটনীতিক লি ইল-গিউ টিভি চোসুনকে বলেছেন, এটা থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায় যে প্রদেশের কর্মকর্তাদের ঘাড় থেকে মাথা কখন পড়ে যাবে কেউ জানে না, এ কারণে এতো উদ্বিগ্ন থাকেন তারা।’

কিমকে গত মাসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো জরিপ করতে এবং বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে দেখা গিয়েছিল। বন্যার পানির মধ্যে তিনি গাড়ি নিয়েই তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল।

তিনি তখন বলেছিলেন,  বন্যাকবলিত এলাকাগুলো পুনর্নির্মাণ করতে কয়েক মাস সময় লাগবে।
এদকে উত্তর কোরিয়ার এই নেতা হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং এ নিয়ে ভুয়া খবর প্রকাশের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিবেদনের নিন্দা করেছেন।

২০১৯ সালেও কিম এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি শীর্ষ বৈঠকে আলোচনা করতে ব্যর্থ হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির পারমাণবিক দূত কিম হিওক চোলকে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছিল। সিএনএন জানিয়েছে, তখন প্রকাশ করা হয় যে, চোল নিছক রাষ্ট্রীয় হেফাজতে ছিল।

কোরিয়া টাইমস অনুসারে, উত্তর কোরিয়ায় সাধারণত প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ডের দিয়ে থাকে।

রাজ্যটি কভিড-১৯ মহামারির আগে গড়ে ১০ জনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল। তারা আরো ধারণা করছে, গত বছর কমপক্ষে ১০০টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে এবং সেই হার আরো বেড়েছে। 

বিআরইউ

Link copied!