Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ইসরাইলের মধ্যপ্রাচ্য দখলে বড় বাধা ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ১০, ২০২৪, ০৩:০২ পিএম


ইসরাইলের মধ্যপ্রাচ্য দখলে বড় বাধা ইরান

যেদেশে আশ্রয় সে দেশকেই গিলে খাওয়া, এ যেন উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো। এমন কাজটি করেছে দখলদার ইসরাইল। ১৯৪৮ সালের ১৪ই মে ফিলিস্তিনের বুকে জন্ম হয় ইসরাইলে রাষ্ট্রের। এরপর ফিলিস্তিন, ইরাক, লেবাননসহ মধ্যপাচ্যের দেশগুলো দখলে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্ষমতাধর রাষ্ট্র ইরান।

সেই থেকে ইরানের মাটি ও মানুষ নিয়ে ইসরাইলের ষড়যন্ত্র শুরু। সুযোগ পেলেই ইরানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে কোনো কিছুতে আঘাত করেছে, হত্যা করেছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বৈরুতের বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি কার্ড কোরের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডারদের একজন জেনারেল আব্বাস নিলফোরোওশান নিহত হন। এর জবাবে ইরান গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক মিসাইল হামলা চালায়।

সামরিক শক্তির দিক দিয়ে মধ্যপাচ্যের অন্যদেশগুলোর মধ্যে ইরান এগিয়ে থাকায় ইসরায়েলের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। এজন্য ইরানকে দমিয়ে রাখার জন্য একের পর এক শীর্ষ নেতাদের হত্যা করছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক শক্তির পার্থক্য:

সেনাসদস্য
ইরানের সামরিক বাহিনীর সক্রিয় সদস্যসংখ্যা ৬ লাখ ১০ হাজার। এর মধ্যে ৩ লাখ ৫০ হাজার সেনাসদস্য, ১ লাখ ৯০ হাজার বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সদস্য, ১৮ হাজার নৌসেনা, ৩৭ হাজার বিমানসেনা ও ১৫ হাজার বিমানপ্রতিরক্ষা সদস্য।এছাড়াও দেশটির ৩ লাখ ৫০ হাজার রিজার্ভ সেনাসদস্য রয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সক্রিয় সদস্যসংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্য ১ লাখ ২৬ হাজার, নৌসেনা ৯ হাজার ৫০০ এবং বিমানবাহিনীর সদস্য ৩৪ হাজার। দেশটির রিজার্ভ সেনাসংখ্যা  ৪ লাখ ৬৫ হাজার। 

সামরিক খাতে ব্যয়
ইরান ২০২৩ সালে সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন। একই সময়ে ইসরায়েলের ব্যয় ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন।

স্থলবাহিনী 
ইরানের ট্যাংক সংখ্যা ১০ হাজার ৫১৩টি, ৬ হাজার ৭৯৮টি কামান এবং ৬৪০টির বেশি সাঁজোয়া যান। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর রয়েছে ৫০টি হেলিকপ্টার, বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর রয়েছে ৫টি। বিপরীতে ইসরায়েলের রয়েছে প্রায় ৪০০ ট্যাংক, ৫৩০টি কামান ও ১ হাজার ১৯০টি সাঁজোয়া যান।

বিমানবাহিনী
ইরানের বিমানবাহিনীর রয়েছে ৩১২টি যুদ্ধবিমান, বিপ্লবী গার্ডের রয়েছে আরও ২৩টি। বিমানবাহিনীর রয়েছে ২টি জঙ্গি হেলিকপ্টার, সেনাবাহিনীর রয়েছে ৫০টি এবং বিপ্লবী গার্ডের ৫টি। ইসরায়েলের রয়েছে ৩৪৫টি যুদ্ধবিমান ও ৪৩টি জঙ্গি হেলিকপ্টার। 

নৌবাহিনী

ইরানের রয়েছে ১৭টি সাবমেরিন, ৬৮টি প্যাট্রল ও কোস্টাল কমব্যাটান্ট, ৭টি রণতরি, ১২টি ল্যান্ডিং শিপ, ১১টি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট, ১৮টি লজিস্টিকস ও সাপোর্ট সরঞ্জাম।

ইসরায়েলের রয়েছে ৫টি সাবমেরিন ও ৪৯টি প‌্যাট্রল ও কোস্টাল কমব্যাটান্ট।

সংবাদ সূত্র: ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ।

এসকে/বিআরইউ
 

Link copied!