নভেম্বর ৮, ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
লেবাননে এবার মালয়েশিয়ান শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এ হামলা হয়। এর আগে বেশ কয়েকবার লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত এলাকায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের স্থাপনায় হামলা হয়। সেসব হামলায় শ্রীলংকাসহ বেশ কয়েক দেশের শান্তিরক্ষীরা আহত হয়েছিলেন।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ লেবাননের শহর সিডনে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এতে তিনজন লেবানিজ নাগরিক নিহত এবং তিনজন লেবানিজ সৈন্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইউনিফিলের (লেবাননে কর্মরত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী) ছয়জন সেনা আহত হন। তারা মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্য।
লেবাননের সেনাবাহিনী ও মালয়েশিয়া সরকার পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
তথ্যমতে, একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে বিমান হামলাটি হয়। গাড়িটি তখন চেকপয়েন্ট অতিক্রম করছিল। হামলায় গাড়ির ভেতরে থাকা তিন লেবানিজ নাগরিক নিহত হন এবং সৈন্যরা আহত হন। লেবাননের ওই সেনারা চেকপয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অপরদিকে ব্যস্ত সড়কে ঘটনাস্থল পাড় হচ্ছিল শান্তিরক্ষীদের বহনকারী বাসসহ কয়েকটি যান। ইসরায়েলের হামলা থেকে সেগুলোও বাদ যায়নি।
এর আগেও লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর ইসরায়েলি হামলা হয়েছে। তখন সারা বিশ্বে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। কিন্তু তাতেও থামছে না নেতানিয়াহুর বাহিনী।
গত অক্টোবর মাসে এ নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। জাতিসংঘের যে ভাবমূর্তি তার নিজস্ব কর্মীদেরও রক্ষা করতে পারে না, সেটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার জন্য লজ্জা ও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন এরদোয়ান। এ সময় বিশ্বসংস্থাটিকে তেলআবিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েলকে থামানোর জন্য অপেক্ষা করায় তুরস্ক অবাক হচ্ছে। নেতানিয়াহুর আগ্রাসী মনোভাবের কারণে এই অঞ্চল ইসরায়েলের আগুন জ্বলেছে।
এরদোয়ান বলেন, লেবাননে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আক্রমণ আবারও প্রমাণ করেছে তুরস্কের উদ্বেগ কতটা যৌক্তিক। এ সময় ইসরায়েলের উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে তেলআবিবকে সতর্ক করেছেন এরদোয়ান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, লেবাননে শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ ও হুমকি দেওয়ার ঘটনা ইসরায়েলি সরকারের বর্বরতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।
বিআরইউ